বান্দরবানে যৌথ অভিযানের নামে নির্বিচারে ধরপাকড় ও শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ ও আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে তিন সংগঠন
সাম্প্রতিক কালে রুমা ও থানচিতে কেএনএফ-এর কথিত ‘ব্যাংক ডাকাতির’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর ব্যাপক তল্লাশি, সাঁড়াশি অভিযানে নির্বিচারে ধরপাকড়-হয়রানি, নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও আটককৃতদের অনতিবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে পাহাড়ে সক্রিয় তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন।
বিবৃতে স্বাক্ষর দিয়েছেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ)-এর সভানেত্রী নীতি চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা এবং গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)-এর সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক বরুণ চাকমা।
আজ বুধবার (১০ এপ্রিল ২০২৪) সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে তিন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ-উদ্ধার ও অস্ত্র লুটের পরিপ্রেক্ষিতে গোটা বম জাতিসত্তার জনগণকে অপরাধী সাব্যস্ত করা, তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার, নির্বিচারে ধরপাকড়, ছুটিতে ঘরমুখী শিক্ষার্থীদের তুলে নেয়া, হয়রানি ও জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
পাহাড়ে ঐতিহ্যবাহী বৈ-সা-বি (বৈসু-সাংগ্রাই-বিঝু) উৎসব লগ্নে, রুমা ও থানচির মত দুর্গম এলাকায় চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ওপর রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাসমূহ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুধু বম জাতিসত্তা ভুক্ত সম্প্রদায়ের লোক নয়, গোটা এলাকার সাধারণ মানুষের জনজীবনের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন।
বিবৃতিতে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতিগত বিদ্বেষ সৃষ্টি, নির্বিচারে ধরপাকড় ও দমন-পীড়ন সমস্যার সমাধান নয় এবং তা কখনই শুভফল বয়ে আনতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন।
কেন্দ্রীয় কমিটি।