আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদ উল আযহা। আর মাত্র ১১ দিন পর মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসব। কিন্তু রাঙামাটির
কাপ্তাই উপজেলার ব্যবসায়ের একমাত্র প্রানকেন্দ্র নতুনবাজার আনন্দ মেলার কুরবানির পশুর মাঠে নানা জটিলতায় এখনো আসছেনা পাহাড়ি গরু। গরু না আসায় ব্যবসায়ী,ক্রেতা,বিক্রেতা ও ইজারদারের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা।
অথচ প্রতি বছর পবিত্র ঈদুল আযহা আসলে বিশ দিন পূর্বে থেকে শুরু হয় এই মাঠে পশু বেঁচা কেনা। বিশেষ করে পাহাড়ের বিভিন্ন উপজেলা হতে পাহাড়ি গরু এসে ভরে যায় এই মাঠে । কিন্ স্থানীয় কিছু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি এবং বিভিন্ন নিয়ম-কানুনের ফলে পাহাড় হতে কাপ্তাই আনন্দ মেলা মাঠে গরু আসছেনা। কুরবানির গরু না আসায় স্থানীয় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে চলছে নানা প্রতিক্রিয়া।
গরু ব্যবসায়ী ইসমাইল, আশিষ দাশ,কালাম সওদাগর বলেন , রাঙামাটির লংগদুর মাইনী, বরকলের শুভলং,নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি, পানছড়ি, ফারুয়া, মারিশ্যা হতে আমরা গরু কিনে এই বাজারে নিয়ে আসি। আনার পথে সড়ক ও নৌ পথে নিরাপত্তার দায়িত্বরত লোকজনকে বৈধ কাগজপত্র দেখে ছেড়ে দেয়।কাপ্তাই আনার পর গরুগুলো ইউনিয়ন পরিষদ হতে ছাড়পত্র নিয়ে এই বাজারে বিক্রয় করি। কিন্ত কাপ্তাই হতে সেই গরু কাপ্তাই – চট্রগ্রাম সড়ক পথে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নেয়ার পথে কিছু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি ও জটিলতার ফলে বিভিন্ন বাঁধার মুখে পড়তে হয় । ফলে সকল ব্যবসায়ীরা এখন আর কাপ্তাইয়ে গরু আনতে ও ক্রয় বিক্রয় করতে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে। নানা জটিলতার ফলে ব্যবসায়ীরা কাপ্তাইয়ে গরু না এনে রাঙামাটি সদর ও বিলাইছড়ি হয়ে রাজস্থলী উপজেলায় নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তাঁরা। আনন্দ মেলা মাঠে ২০ দিন আগ থেকে ইজারদাররা নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। কিন্ত গরুর খুটি আছে গরু নেই।
স্থানীয় পশু কুরবানি ক্রেতা কবিরুল ইসলাম,বেলাল ও জয়নাল আবেদীন নতুনবাজার আনন্দ মেলা কুরবানির গরু ক্রয় করতে এসে গরু না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, পাশ্ববর্তী চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কুরবানির হাট হতে একটি গরু ক্রয় করে আনতে ইজারাদারকে হাজারে ১শ’টাকা হাছিল ও ছাগল ৫০টাকা করে দিতে হয়। সেই সাথে পরিবহন ভাড়া গুনতে হয় দ্বিগুণ। কিন্ত কাপ্তাই এই আনন্দ হতে একটি গরুর ক্রয় করলে হাছিল শুধু মাত্র ১শ’টাকা নেয়া হয় বলে জানান।
কাপ্তাই আনন্দ মেলা মাঠের ইজারদার মো.মনির হোসেন বলেন, আমরা বিগত ৪ মাস ধরে স্থানীয় কিছু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি ও নানা জটিলতার যাতাকলে পড়েছি। তাই প্রশাসনের নিকট আবেদন করছি সকল সমস্যা দূর করে বৈধ গরু ব্যবসায় আমাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য।
কাপ্তাই থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ক্রেতা বিক্রেতারা যাতে এই পশুর হাট হতে গরু বেচাকেনা করে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যেতে পারে সেইজন্য পুলিশ প্রশাসন সবসময় সহযোগিতা করে আসছেন এবং করবেন।