রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার নতুনবাজার আনন্দ মেলা গরুর বাজার ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে। পার্বত্যঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা হতে বেপারিরা কাপ্তাই লেক এবং সড়কপথে এখানে গরু এনে বিক্রি করে, ফলে এই গরুর বাজারে কুরবানি ঈদে পাহাড়ি গরুর চাহিদা বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। কাপ্তাই উপজেলা ছাড়াও চট্রগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া,রাউজন এলাকা হতে ক্রেতারা আসছেন এই বাজারে পাহাড়ি গরু ক্রয় করার জন্য।
বুধবার (১২ জুন) দুপুর ২ টায় এই গরুর বাজার কথা হয় রাঙ্গুনিয়া হতে আসা গরু ক্রেতা ইকবাল ও সোবহানের সাথে। তাঁরা বলেন, আমরা চাই পাহাড়ি গরু। কারন পাহাড়ি গরু প্রাকৃতিক সকল ধরনের লতা-পাতা খায়।যার ফলে এগরুর স্বাদে ও পুষ্টি গুণে ভরপুর। এক কথায় কোন রোগ নেই।তাই সকলে চায় পাহাড়ি গরু।
রাঙ্গুনিয়া চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম এলাকা হতে গরু কিনতে আসা ক্রেতা মশিউর, ইকবাল ও রুবেল বলেন, গত বছরও আমরা এই বাজার হতে পাহাড়ি গরু ক্রয় করেছিলাম। কারন পাহাড়ি গরুর রোগ বালাই নাই, হৃষ্টপুষ্ট হয় এই গরু।
বিলাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার মাইনি হতে গরু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ী মংসুই মারমা ও লাইসাইন চাকমা বলেন, আমাদের গরু সব পাহাড়ে জঙ্গলে ছেড়ে দেই।এদের কোন কুড়া ও বুষি খাওয়াই না। এরা লতা-পাতা খেয়ে পাহাড়ে জঙ্গলে থাকে। এরা প্রাকৃতিক খাবার খায়। এই বাজারে বিক্রয় এর জন্য গরু আনলে ক্রেতারা এই পাহাড়ি গরু চায় বেশি। ভালো দাম পাচ্ছি আমরা।
কাপ্তাই নতুনবাজার গরু ব্যবসায়ী আবুল কালাম, আশিষ বাবু বলেন, এবার কুরবানি ঈদে এই বাজারে বেশ গরু উঠছে। দাম একটু বেশি হলেও বেঁচা বিক্রি ভাল।
কাপ্তাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ কমকর্তা কৃষিবিদ ড: এনামুল হক হাজারী বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল হত ৩ সদস্যের একটি টিম গত সোমবার হতে এই বাজারে অবস্থান করছেন পশুর সেবা প্রদান করার জন্য।