জেলার দুর্গম লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়ন পরিষদের অনেক পুরাতন ১০-১১টি তুলা গাছ কেটে ফেলেছেন স্বয়ং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যার! সম্প্রতি ৪নং বগাচতর ইউনিয়ন পরিষদ প্রভাবশালী চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল বশর ক্ষমতার জোরে ৩০-৩৫ বছর আগের পুরাতন তুলা গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে এলাকায় নানান গুনঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের ভয়ে ও আতংকে কেউ মূখ খুলতে নারাজ।চেয়ারম্যানের অন্যায় অত্যাচারে অনেকে প্রতিবাদ করা ভাষাও হারিয়ে ফেলেছে। গত ১ নভেম্বর ২০২৩ চেয়ারম্যান তার একক ক্ষমতার বলে ইউনিয়ন পরিষদের গাছগুলো কেটে বিক্রি করে দেন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, চেয়ারম্যান গায়ের জোরে ও ক্ষমতার বলে ৩০-৩৫ বছর আগের পুরাতন অনেক বড় বড় তুলা গাছগুলো কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। সরকারি গাছ তিনি এভাবে একক ক্ষমতার বলে কেটে বিক্রি করে দিতে পারে না। আইনে বলা আছে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় রেজুলেশন করে তার অনুমতি পেলে ওই গাছ তিনি বিক্রি করতে পারবেন। তাও যথাযথ প্রমান লাগবে কেন কি জন্য গাছ কাটতে হবে। এবং গাছ বিক্রির টাকা ইউনিয়ন পরিষদে জমা করতে হবে।এসবকে উপেক্ষা করে মন গড়া ভাবে একক সিদ্ধান্তে পরিবেশ ধ্বংস করে বহু দিনের পুরাতন বড় বড় তুলা গাছগুলো তনি বিক্রি করে দিয়েছেন।
এব্যাপারে মুঠোফোনে মোঃ আব্দুল বশর চেয়ারম্যান জানান,পরিষদের তুলা গাছগুলো ভেঙ্গে টিনের চালের উপর পড়ে তাই পরিষদে একটি রেজুলেশন করে তা ১০-১২ হাজার টাকা বিক্রি করে দিয়েছি। তবে উপজেলা পরিষদের অনুমতি নেননি তিনি তা স্পষ্ট বুঝা গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশনের কপি চাওয়া হলে তাও তিনি দেখাতে পারেনি। গাছ কাটার বিষয়টি ব্যাপক আকারে জানাজানি হলে সুকৌশলে নিজে অপকর্ম থেকে রেহাই পেতে তড়িগরি করে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে একটি রেজুলেশন তৈরী করে লংগদু নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এব্যাপারে তাৎক্ষণিক ইউএনও লংগদুর সিএ মোঃ ইয়াছিন কে এসংক্রান্ত ব্যাপারে ফোন করা হলে প্রতি উত্তরে বলেন, বগাচতর ইউনিয়নের গাছ কাটার ঘটনা সে অবগত নহে।
এব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে লংগদু উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলামকে কয়েক বার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। সর্ব শেষ ইউএনও লংগদুকে সোমবার সকাল ও দুপুরে কয়েক বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। তাই গাছ কাটা নিয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে সরকারি সম্পদ ও পরিবেশ বান্ধব ইউনিয়ন পরিষদের অনেক বছরের পুরাতন গাছ প্রভাব খাটিয়ে বিক্রি করে দেওয়ায় বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা এবং সচেতন ব্যক্তি মোঃ কবির হোসেন। জেলা প্রশাসককে দেওয়া তার অভিযোগে কবির হোসেন বলেন,বগাচতর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল বশর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পরিষদের তুলা ও জাম গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত হবে। প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে আমার দাবি এটার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হউক।