সম্প্রতি প্রবল অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের স্রোতে রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় থানার পূর্বে আরসিসি গাইর্ডার ব্রীজের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পিলারের বেইজ ও পাইলক্যাপের নিচের মাটি সরে গিয়ে ৮-৯ ফুট গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ব্রীজটি ডেবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড থানা সংলগ্ন পূরে লুলাংছড়ি ও সামিরা সংযোগ রাস্তায় ২০২০ সালে নির্মাণ করে দেয় এ আরসিসি গাইর্ডার ব্রীজটি। ব্রীজটির একটি অংশ আরসিসি বক্স সেতুর ৬০ ফুলম্বার দুই পাশ্বে ৮-৯ ফুট বেইজ ও পাইলক্যাপের মাটি সরে গেছে। অন্যটি ১শ ২০ ফুট লম্বা সেতুর চারটি পিলার ও দুই পার্শ্বে আরসিসির ৮-৯ ফুট গর্ত তৈরী হয়েছে।
স্থানীয় কার্বারী সুরেশ চাকমা ও ঝিনুকা চাকমা বলেন, সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ব্রীজের পিলারে ক্যাপের মাটি সরে যায়। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ব্রীজের ঝুঁকি বাড়তে পারে। যে কোন মহূত্বে ব্রীজটি ডেবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুরাছড়ি মৌজার হেডম্যান সুন্তোষ দেওয়ান বলেন, এই ব্রীজটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ব্রীজে দিয়ে তিন ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াত ও কৃষি পন্য পরিবহন করে।
জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা বলেন, এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ। সরেজমিনে দেখেছি। ব্রীজের পাইলক্যাপের মাটি সরে যাওয়াই ব্রীজটি ঝুঁকি বাড়তে পারে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষে অবহিত করা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজটি নির্মান করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। এ ব্রীজের মধ্যে দিয়ে শত শত শিক্ষার্থী যাতায়াত ও কৃষি পন্য পরিবহন করে। ব্রীজটি রক্ষায় মাটি ভরাটের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।