পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
আজ দুপুরে চট্টগ্রাম সদরের কাতালগঞ্জ এলাকায় কিশলয় কনভেনশন হলে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু আয়োজিত নব কমিটির অভিষেক ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন ২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব) সুপ্রদীপ চাকমা এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী সকলের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, জ্ঞানেশ্রি ভান্তে, বড়ুয়া ভান্তে, মারমা ভান্তে সকলেই আমাদের আলোকিত করেছেন। ভান্তেরা বিনয়ের সাথে চলেন। কখনো তাদের বিনয় ভংগ হয় না। মানুষের মাঝে সহিংসতা ও মারামারি কখনো কাম্য হতে পারে না। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, গুজব ও উস্কানিতে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতা হয়ে গেল যা দুঃখজনক। আমি নিজে সেখানে গিয়েছি, সেখানে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারি সহযোগিতা বিতরণ করেছি এবং এলাকার উদ্ভূত পরিস্থিতি শান্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি।
বৌদ্ধ ভিক্ষুরা উপদেষ্টার মাধ্যমে সরকারের কাছে ৮টি দাবি তুলে ধরে। এর মধ্যে প্রবারণা পূর্ণিমায় ১ দিন সরকারি ছুটি, বৌদ্ধ সরকারি চাকরিজীবীদের তীর্থ ভ্রমণ ছুটি, প্রত্যেক বিহারে বিদ্যুৎ বিল মওকুফ, ভিক্ষু প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য চট্টগ্রামে সরকারি জমি বরাদ্দ দান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ছিল।
উপদেষ্টা দাবির বিষয়গুলো সরকারের নজরে আনা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, প্রবারণা, কঠিন চীবর দান বাংলাদেশে অবশ্যই হবে।
অভিষেক ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন সভার সভাপতি অগগমহাপন্ডিত অধ্যাপক বনশ্রী মহাথের-এর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কঙ্কন চাকমা, মহাসম্মেলনে নবনির্বাচিত মহাসচিব প্রজ্ঞাবারিধি অধ্যাপক সুমেধানন্দ মহাথের, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার উপ সঘ-নায়ক সদ্ধর্মরশ্মি রতনশ্রী মহাথের, বিভিন্ন এলাকার ভান্তে ও সুধিজনরা উপস্থিত ছিলেন।