নিজস্ব প্রতিবেদক।
জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২মার্চ ২০২২) বিকালে ভূষণছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল জলিল রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আব্দুল জলিলের দাবি ‘অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি’ প্রকল্পের উপকার ভোগিদের সঠিক নামের তালিকা নিয়ে প্রতিবাদ করায় ভূষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুনের লোকজন তাকে ব্যাপক মারধর করে’। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে চেয়ারম্যান মামুনের সাথে মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
বরকল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ‘শুনেছি বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৮ ওয়ার্ডে মারামারি হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
আহতের স্ত্রী আসমা বেগম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মামুন চেয়ারম্যানের ভুয়া তালিকার প্রতিবাদ করে জলিল মেম্বার । ভুয়া তালিকার ব্যাপারে বুধবার সকালে বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করায় চেয়ারম্যান মামুনের লোকজন ক্ষীপ্ত হয়ে বুধবার বিকালে জলিল মেম্বারকে গুরুতরভাবে মারধর করে। এসময় তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলে হামলাকারীরা।
আসমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামীকে চেয়ারম্যানের লোকজন গরুর মত পিটিয়েছে। অল্পের জন্য সে মারা যায়নি। চেয়ারম্যানের ইন্ধনে এঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি এর বিচার চাই’।
মেম্বার জলিলের চাচাতো ভাই মোঃ রিপন বলেন, ‘৮নংওয়ার্ডে হত দরিদ্রদের জন্য যে সকল বরাদ্দ আসে ওই সকল বরাদ্দ সঠিক ভাবে বন্টন করেনি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান।ওই বরাদ্দের সঠিক বন্টন যেন হয় সে ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন জলিল মেম্বার’।
আসমা বেগম আরো বলেন, ‘বর্তমানে আমার স্বামী সংকটাপন্ন অবস্থায় রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাকে বাঁচাতে সকলের সহযোগিতা চাই’।
এ ব্যাপারে ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশিদ মামুনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
বরকল থানার ওসি মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি ছুটিতে থাকায় বিস্তারিত জানতে পারিনি। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বরকল থানার পুলিশ গিয়েছে। এব্যাপারে এখনো থানায় কেউ কান অভিযোগ নিয়ে আসেনি’।