অবশেষে পর্যটকদের জন্য বান্দরবান ভ্রমণের দুয়ার খুলছে। টানা ১মাস নিষেধাজ্ঞা থাকার পর পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল ৭ নভেম্বর থেকে বান্দরবানে ৪ উপজেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা। তবে এখনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি এ ৩ উপজেলা। পর্যায়ক্রমে সেগুলোও পর্যটকদের ভ্রমনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।
বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান সদরে ৭৪টি সহ মোট ৯৭টি হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী বান্দরবান ছেড়ে চলে গেছেন।
পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিন্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বান্দরবান আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, এখানকার পর্যটন খাতের সাথে অনেক মানুষের জীবন -জীবিকা জড়িত। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এখাতে অনেকে বেকার হয়ে পরেছে। পর্যটন চালু হওয়ায় খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
এবিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বান্দরবান সদর,লামা,আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে এসেসমেন্ট শেষ হলে রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি এই তিন উপজেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগামীকাল ৭ নভেম্বর থেকে পর্যটকরা বান্দরবানের সদর, নীলগিরি, লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা ভ্রমণ করতে পারবেন।
এর আগে, গত ৮ অক্টোবর থেকে প্রায় ১মাসের মতো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় বান্দরবান জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে বিপাকে পড়ে এ খাতের সংশ্লিষ্ট হাজারো মানুষ।