রাঙামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাসরত মারমা সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে সবার আন্তরিক সহযোগিতার আহবান জাননো হয়েছে। সোমবার রাঙামাটিতে মারমা সম্প্রদায়ের সামাজিক সংগঠন ‘মারমা সংস্কৃতি সংস্থার (মাসস)’ উদ্যোগে ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময়ে এ আহবান জানান সংস্থাটির প্রতিনিধিরা।
এ দিন সকাল ১০টায় শহরের আসামবস্তীর মাসস ভবনের নীচতলায় পবিত্র মঙ্গলসূত্র পাঠ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সংস্থাটির প্রতিনিধিরা। মাসস ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মংসুইপ্রু মারমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মংউচিং মারমা (ময়না) সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমদ।
বক্তব্যে মাসস প্রতিনিধিরা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত ১১টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে মারমারা দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য। কিন্তু শিক্ষায় অনগ্রসরতা, আপন সংস্কৃতির প্রতি অসচেতনতা, সামাজিক অবক্ষয় ও আর্থিক দৈন্যতাসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে মারমা জনগোষ্ঠীর সবক্ষেত্রে পশ্চাৎপদতা ও স্থবিরতা বিরাজমান। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ও অধিকতর ঐক্য-সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০০ সালের ২১ জুলাই ‘মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস)’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সংস্থাটি নিজস্ব সংস্কৃতি, উৎসব ও ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গৌত্র নির্বিশেষে সবার আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত ভাবে কাম্য।