মঙ্গলবার , ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটিতে দুই পরিবারের মধ্যে জমি বিরোধ ঘিরে পালটাপালটি অভিযোগ

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
মার্চ ১৮, ২০২৫ ৯:২৬ অপরাহ্ণ

রাঙামাটিতে পৈতৃক জমি নিয়ে দুই বোনের পরবিারের মধ্যে চরম বিরোধ চলছে। বিরোধ গড়িয়েছে থানা, পুলিশসহ আদালতপাড়ায়। তবু থামছে না। সর্বশেষ পালটাপালটি সংবাদ সম্মেলন ডেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন পরিবার দুটির সদস্যরা। ঘটনাটি শহরের রিজার্ভবাজারের চেঙ্গীমুখ নাপ্পিঘাটা সংলগ্ন এলাকার।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় শহরের রিজার্ভ বাজারের নাদিশা হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আহত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই এলাকার মৃত মজলিস মিয়ার মেয়ে নুর আয়শা বেগম ও তার স্বামী মো. আমির উদ্দিন বলেন, জনৈক মো. নাছির  ও তার ছেলে সাজিদ সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন মিথ্যা কল্প-কাহিনী তৈরি করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা বিরোধীয় যে জমির কথা উল্লেখ করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, মূলত তা নিয়ে কোনা সমস্যা নেই। অনেক আগে তা মুসলিম ফরায়েজ অনুযায়ী উত্তরসুরি মোট আট জনের মধ্যে বন্টন হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের অংশের জমির ওপর তাদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ায় বর্তমানে নানা ধরনের হয়রানি করছে সাজিদরা। এতে বাধ্য হয়ে আমরা তাদের এসব অপকর্মকান্ডের প্রতিকার পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

এর আগের দিন সোমবার ওই এলাকার নিজ বাড়ির আঙিনায় সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জানমালের নিরাপত্তাসহ বিষয়টির সুষ্ঠু সুরাহা চেয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি জানান মো. সাজিদ ও তার বাবা মো. নাছির। এ সময় মো. আমির উদ্দিন ও তার স্ত্রী নুর আয়শা বেগমের বিরুদ্ধে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগ করেন তারা। এ ব্যাপারে থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে বলেও জানান মো. সাজিদ।

তারা বলেন, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলে রেখে অবৈধভাবে বেচা-বিক্রি করে চলেছেন প্রতিপক্ষ নুর আয়শা বেগম ও তার স্বামী আমির উদ্দিন। সাজিদ বলেন, নুর আয়শা আমার খালা। আমরা একই পরিবারের হলেও বাস্তুভিটার সব জমি-জমার রেকর্ডপত্র আমার নানা মৃত মজলিস মিয়ার নামে। নানা মারা গেছেন অনেক বছর আগে। পরে ২০১৭ সালে আমার মা আয়েশা বেগম শিরিন মারা যান। তখন আমি ছোট ছিলাম। মা রাঙামাটি পৌরসভার কমিশনার ছিলেন। কিন্তু মা মারা যাওয়ার পর খালা ও তার স্বামী আমার মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তির জায়গা সিংহভাগ জবরদখলে নিয়ে অবৈধভাবে বেচাবিক্রি করে সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করে চলেছেন। সাজিদ বলেন, আমরা তাদের অপকর্ম বন্ধসহ আমাদের ন্যায্যদাবি চাইতে গেলে আমাদের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার,নির্যাতন, মামলা-হামলা চালান তারা। প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছেন। বর্তমানে আমি ও বাবা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: