রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া সুগারমিল আদর্শ গ্রাম থেকে অপহরণের ৮দিন পর মঙ্গলবার সকালে পোলট্রি খামারী মোঃ মামুনের বস্তাবন্দী দ্বি-খন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোঃ কামরুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী সাথী আক্তার (১৯) নামে দুজনকেও গ্রেফতার করেছে কাউখালী থানা পুলিশ।
গত ৭ জুলাই দুপুরে মামুন বাড়ি থেকে কাজে বের হলে নিখোঁজ হন। ওই দিন রাতেই অপহরণকারীরা মামুনের স্ত্রী সীমা আক্তারকে জানায় তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। ফিরে পেতে হলে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন দিতে হবে। এরপর ৮ জুলাই মামুনের স্ত্রী কাউখালী থানায় একটি জিডি করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় অপহরণকারীদের সন্ধানে নামে পুলিশের একটি চৌকস টিম।
থানা পুলিশ জানিয়েছেন, তাদের তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘাতক কামরুলকে গত সোমবার লক্ষীপুরের ভবানীগঞ্জের এক বন্ধুর বাড়ী থেকে গ্রেফতার করার পর তাকে কাউখালী থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে কামরুলের দেওয়া তথ্য মতে তাকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার সকালের দিকে কাউখালী উপজেলার মাঝের পাড়া এলাকা থেকে খামারি ব্যবসায়ি মামুনের বস্তাবন্দী মাটিচাপা অবস্থায় দ্বি-খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানান, অপরণের দিন রাতেই কামরুল চায়ের সাথে নেশাজাতীয় খাবার খাইয়ে মামুনকে অজ্ঞান করে হত্যা করে। পরে লাশ দ্বি-খন্ডিত করে বস্তায় ভরে মাঝের পাড়া এলাকায় মাটিচাপা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় ঘাতক কামরুল।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান, এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাতক কামরুলকে আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ড চাওয়া হবে। এ হত্যাকান্ডের সাথে কারা কারা জড়িত আছে সকলকে খুজে বের করা হবে। তিনি আরো জানিয়েছেন ইতিমধ্যে চেক গ্রহন করা আনোয়ার (২০)কে গ্রেফতার করে রাঙামাটি আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন, গত ৭ জুলাই থেকে খামারি মামুন নিখোঁজ হয়। কিন্তু মেরে ফেলে নিখোঁজের নাটক করেছে কামরুল। মামুনের স্ত্রীর দায়ের করা জিডির সূত্রপাত ধরে পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করতে গিয়ে হত্যার মূল রহস্য বের হয়ে আসে। পরে কামরুলকে গ্রেফতারের মাধ্যমে মামুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় এই পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এঘটনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।