শনিবার, মার্চ ২৫News That Matters

সরকার কাপ্তাই ও পাহাড়ী পরিত্যক্ত জায়গায় নতুন নতুন সোলার প্ল্যান্টের উদ্যোগ নিয়েছে–সচিব

শেয়ার করুন:

 

রাঙামাটি কাপ্তাইয়ের বিদ্যুৎ ভবনে “ইনস্টলেশন অব ৭.৪মেঃওঃ সোলার ফটোভোলটেইক (পিভি) গ্রিড -কানেক্টড পাওয়ার জেনারেশন প্ল্যান্ট এ্যাট কাপ্তাই (২য় সংশোধীত)” বিষয়ক কর্মশালা হয়েছে।

শনিবার সকাল ১১টা হতে দুপুর ১টা পযন্ত বিদ্যুৎ ভবনে সমাপ্ত প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন সমীক্ষার উপর স্থানীয় অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।

বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও এসডিএম কনসালটে আয়োজনে এ মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এ,টি,এম আব্দুজ্জাহের প্রজেক্ট ম্যানেজার, ইনস্টলেশন অব ৭.৪মেঃওঃ সোলার ফটোভোলটেইক (পিভি) গ্রিড কালেক্টড পাওয়ার জেনারেশন প্ল্যান্ট এ্যাট-কাপ্তাই(২য় সংশোধীত)।

মতবিনিময় সভায় সোলার ৭.৪মেঃওঃ প্লান্ট নিয়ে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেন স্থানীয় অংশগ্রহণকারীরা। জনপ্রতিধি ৪ নং কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, বিএসপিআই এর অধ্যক্ষ মো.আব্দুল মতিন হাওলাদার, কাপ্তাই প্রেসক্লাব সভাপতি কবির হোসেন ও স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, সোলার হওয়ায় ফলে এলাকায় গরমের তাপ বৃদ্বি পেয়েছে।একাধিকার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে পাশাপাশি নতুন করে কোন শিল্প গড়ে উঠেনি। আমরা কাপ্তাইয়ে এর কোন সুফল পাচ্ছিনা।

কাপ্তাই পাওয়ার গ্রীড সহকারী প্রকৌশলী আলমগির হোসেন, স্থানীয় সেবাগ্রহীতা আব্দুল ওহাব, মোশাররফ হোসেন, ইউপি সদস্য মঈন জানান, ২০১৯ সালে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপনের হওয়ায় অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এবং জাতীয় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে। কাপ্তাই প্রকল্প এলাকার ১৯.৫একর পরিত্যক্ত খোলা জায়গায় এটি স্থাপন হওয়ার ফলে এলাকার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ শোভা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের (অতিরিক্ত সচিব) ও বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের এস.এম.হামিদুল হক প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সোলার প্ল্যান্ট স্থাপনে ক্ষতিকারক কোনো প্রভাব নেই। এটি সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব। এবং পরিত্যক্ত খোলা জায়গায় এটি স্থাপন করায় যা ন্যাশনাল গ্রিডে বিদ্যুৎ গিয়ে যোগ হচ্ছে।

তিনি বলেন অত্র প্রকল্পের পরিত্যক্ত ও পাহাড়ী খোলা জায়গায় বর্তমান সরকার সোলার প্লান্টের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে বলে মতবিনিময় সভায় ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, পরিচালক বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও মো.সাখাওয়াত হোসেন উপ-পরিচালক (সিনিয়র সহকারী সচিব) বাস্তায়ন পরিকল্পনা বিভাগ ও টিম লিডার এমডিসি কনসালটেন্ট খান সাজিদ উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়া সোলার প্ল্যান্টের বিভিন্ন সুফল ও সুবিধা নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহামুদুল হাসান,উপ-ব্যবস্থাপক কয়সুল বারী, ও নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্নএনজিও,শিক্ষক, সেবাগ্রহীতা,সংবাদকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে মতামত ব্যক্ত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *