রাঙামাটিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক ও ফল ব্যবসায়ির মধ্যে চরম মারামারি বাঁধে। এঘটনায় আনোয়ার হোসেন(২৬)নামের ফল ব্যবসায়ির বাঁ হাতের ২টি রগ কাটা গেছে। রবিবার সন্ধ্যার একটু আগে শহরের পৌর ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানাগেছে, আনোয়ার হোসেন একজন ফল ব্যবসায়ি ওপৌরসভার ২নংওয়ার্ড কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক। এঘটনায় তাকে রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যরত ডাক্তার বলেছেন বাম হাতের ২টি মোটা রগ কাটা গেছে তবে চিকিৎসা চলছে। রাতের মধ্যে উন্নতি না হলেচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,পৌর ট্রাক টার্মিনালস্থ ইটের সামনে দাঁড়িয়ে আহত আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। এসময় ড্রাইভার ইশানের হেলপার ট্রাক টার্মিনালে প্রবেশের সময় আনোয়ারের গায়ে সামান্য ধাক্কা লাগে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক ও ফল ব্যবসায়ি আনোয়ার হোসেনের সাথে মারামারি বাঁধে।মারামারি ও হাতা হাতির এক পর্যায়ে ট্রাক টার্মিনালের অফিস কক্ষে আয়নার সাথে আনোয়ারের হাত কেটে যায়। মূলতঃ মারামারি বাঁধে ড্রাইভার ইশানের হেলপারের সাথে আনোয়ারের সাথে পরে সেই মারামারি ছড়িয়ে পড়ে গোটা টার্মিনাল জুড়ে।
ড্রাইভার মানিক বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে বড় করেছেন ফল ব্যবসায়ি আনোয়ার হোসেন। এখানে উভয়ের দোষ আছে। এটা মিমাংসা বা সমাধান করতে টার্মিনাল অফিসে বসা হলে সেখানে আনোয়ার হোসেন ইট নিয়ে হেলপারকে মারতে আসে। এর পরেই শ্রমিক ও আনোয়ারের লোকজনের মধ্যে মারামারি বাঁধে যায়।আমি এঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম না।
আহত আনোয়ারের বড় বোন মিনারা বেগম,চাচাত ভাই মোঃ জুলহাসও খালাত ভাই রহমত আলী শেখ বলেন,আনোয়ার হোসেন একজন ফল এবং মাছ ব্যবসায়ি সে তার ব্যক্তিগত কাজে ট্রাক টার্মিনালে গেলে পূর্ব পরিকল্পিত রেশ ধরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাপ হাতের ২টি রগ কেটে দিয়েছে মানিক,দিদার,ইশানসহ অন্যান্য শ্রমিকেরা।আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করছি। রাতের মধ্যে এঘটনা সমাধান করা না হলে সোমবারে আমরা মামলা করবো।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কবির হোসেন মুঠোফোনে জানান, শুনেছি একজন ফল ব্যবসায়ি ও ট্রাক টার্মিনালের শ্রমিকদের মধ্যে মারামারি বেঁধে কাচের মধ্যে বাপ পায়ের রগ কাটা গেছে। তবে এখনো কেউ আইনগত সহায়তা পেতে থানায় আসেনি।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।