দেশের একমাত্র জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই হাইড্রোলিক পাওয়ার স্টেশনে তীব্র পানির সংকটে কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। অনাবৃষ্টি এবং প্রচন্ড তাপদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে এই সংকট দেখা দিয়েছে ।
এদিকে পানি কমে যাওয়ায় ফলে শুধু মাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে না, কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্ভরশীল বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া হ্রদের সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি উপজেলার সাথে নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার এটিএম আবদুজ্জাহের এর সাথে বুধবার সকাল ১০ টায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। পানির অভাবে কেন্দ্রের সব ক’টি ইউনিট সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ম পর্যায়ে ঠেকেছে।
তিনি জানান, কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে ৩ নম্বর ও ৫ নং ইউনিট চালু রয়েছে। বুধবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৩ নং ইউনিট হতে ২৯ মেগাওয়াট এবং ৫ নং ইউনিট হতে ৩০ মেগাওয়াট সহ সর্বমোট ৫৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
তিনি জানান, এই কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে দৈনিক ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। বর্তমানে পূর্নবাসনের জন্য ১ নং ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে এবং পানির তীব্র সংকটে ২ ও ৪ নং ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে বুধবার( ২৭ এপ্রিল ) সকাল ৯ টায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রুলকার্ভ অনুযায়ী এসময় হ্রদে পানি থাকার কথা ৮২.৮০ ফিট এমএসএল (মীন সী লেভেল) কিন্তু বর্তমানে পানি আছে ৭৬.৯৪ ফিট এমএসএল। কাপ্তাই লেকে পানির ধারন ক্ষমতা ১০৯ ফিট এমএসএল।
পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচুর বৃষ্টিপাত না হলে এই সংকট হতে উত্তরণ সম্ভব নয় বলে জানান বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক।