পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ জাতিকে একটি স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সকল জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় এক ছাতার নিচে বসবাস করবে।
গতকাল খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যবাহী বলিখেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, মানুষ যাতে খারাপ কাজে লিপ্ত না হয়, ছাত্র-ছাত্রীরা যেন স্কুলমুখী ও কলেজমুখী হয়, সেজন্য সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার পরিবেশ করে দিয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্পোর্টস, ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, দাবা, মার্শাল আর্ট, বলিখেলা নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিভিন্ন শারীরিক কসরৎ করে তাদের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখছে। আর এর সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আস্থার প্রতীক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিভাবান অস্বচ্ছল খেলোয়াড়দের কল্যাণের জন্য সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে রেখেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বলি খেলা চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এ খেলায় বিজয়ী হতে হলে একজন খেলোয়াড়ের শরীরের শক্তি ও কৌশলের প্রয়োজন হয়। জনপ্রিয় এ খেলা দেখতে মাঠে হাজার হাজার মানুষ ভীড় করে।
খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী বলিখেলায় অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হন তিনজন। বলি খেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৩৬ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে। বলি খেলা দেখতে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে হাজার মানুষের ঢল নামে। রবিন লীগ পদ্ধতিতে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ফাইনাল খেলায় কেউ কাউকে হারাতে না পারায় কুমিল্লার শাহজালাল বলি ও খাগড়াছড়ির সুমন বলি এবং সৃজন বলিকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
খেলা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপসহ গ্রুপ পর্বের বিজয়ীদের মাঝে ট্রফি ও মেডেল বিতরণ করেন।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো.আমান হাসান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর উপস্থিত ছিলেন।