নিখোঁজের ১৫ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকাল সাড়ে ৬ টায় অপূর্ব সাহার মৃত দেহ কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট এলাকার কর্ণফুলি নদী হতে উদ্ধার করেছে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহীন আলম।
উদ্ধারকৃত অপূর্ব সাহা(১৯) চট্টগ্রাম মহানগর মাদারবাড়ী এলাকার মৃত অরুপ সাহার ছেলে। তাঁর পৈত্রিক বাড়ী ফেনীতে হলেও তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী এলাকায় বসবাস করে আসছেন।
ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর ৯ নং শিলছড়ি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৫ টায় জেলেদের মাছ ধরার রশির টানের সাথে ভেসে উঠে নিখোঁজ অপূর্ব সাহার লাশ। পরে সাড়ে ৬ টার দিকে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে লাশটি উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এর নিকট হস্তান্তর করেন।
বুধবার (১১ মে) দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম হতে আগত ৬ সদস্যের একটি পর্যটক দল সীতাঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামলে নদীর পানিতে ৪ জন তলিয়ে যায়। সেই সময় দুই জন পর্যটক সাতঁরিয়া নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ২ জন নদীর পানিতে তলিয়ে যান।
পরে বিকেল ৪ টা ৩৯ মিনিটে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফয়জুল ইসলাম মন্ডল এর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের কাপ্তাই নৌ বাহিনী ডুবুরি দলের কর্মীরা বিকেল ৫ টার সময় নিখোঁজ লোকেশ বৈদ্য(১৯) নামে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর সদরঘাট এলাকার অপু বৈদ্যের ছেলে।
রাতে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এবং কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব এর উপস্থিতিতে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ মৃত লোকেশ বৈদ্যের লাশ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে হস্তান্তর করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে যোগাযোগ করা হলে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, নিহত অপূর্ব সাহার পরিবারের পক্ষ হতে কোন রকম আপত্তি না থাকায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়ে তাঁর লাশটি তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।