কাপ্তাই হ্রদের বোটের ছাদে বন্ধুদের সাথে নিয়ে গোধূলি লগ্নে আলো-আঁধারিতে আকাশ ছোয়া আনন্দ উল্লাসে বের হয়েছিল টগবগে তরুণ সামাদুল ও তার বন্ধু মামুন, রাসেল, আল-আমিন সহ অন্যান্যরা। কিন্তু নিমিষেই আনন্দ বেদনায় পরিনত হয়। কে জানতো আনন্দই হবে শোকের কারণ!
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাঙামাটির লংগদুতে মাইনী-গাঁথাছড়া সেতুর পাশে ইঞ্জিন চালিত বোটে বিদ্যুতের ঝুলন্ত তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে সামাদুল (২৫) ছাদ থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় এবং মামুন (২১) ও রাসেল (২০) নামের দুইজন গুরুতর আহত হয়।
পরবর্তী স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাইনীমূখ ন্যাশনাল হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং নিখোঁজ সামাদুলকে উদ্ধারাভিযান চালিয়ে যান।
রাতভর খোঁজার পর রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় নিখোঁজ সামাদুলের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় ডুবুরিরা। স্থানীয়রা জানান, ৫-৭ জন ছেলে বোটে করে ঘুরতে বের হয়েছিলেন।
সেতু সংলগ্নে এসে ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তারের সাথে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে। তবে ছেলে গুলো মূলত রবিবার বাঘাইছড়িতে বোট নিয়ে আনন্দ ভ্রমণে যাওয়ার জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
ন্যাশনাল হাসপাতালের চিকিৎসক আবু তালহা জানান, বিদ্যুতায়িত হওয়া গুরুতর আহত দুজনকে জরুরি সভা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আহত দুজনই এখন শঙ্কামুক্ত।
মাইনী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল জানান, গতকাল ঘটনা শোনা মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে তাৎক্ষণিক স্থানীয় জেলে ও ডুবুরিদের সহায়তা রাতভর উদ্ধারাভিযান চালিয়ে সকালে লাশ উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে।
লংগদু থানার ওসি (তদন্ত) শাহ জালাল বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তবে লংগদু ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স লিডার মো. সেলিম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়ে এসেছি। ডুবুরি দল না থাকার কারণে তাৎক্ষণিক উদ্ধারকাজে সামিল হতে পারিনি।