প্রশিতা চাকমা ও প্রবিতা চাকমা তারা দু’ই বোন। বাবা-মা একজন দরিদ্র কৃষক। অন্যের জমি বর্গা চাষ করে কোন রকমে সংসার চলে। গেল বছর এসএসসি পাশ করেছে প্রশিতা ও প্রবিতা। বাবা-মার অধিক আগ্রহে কোন রকমে দেনকর্জ করে কলেজে ভর্তি করে দেয়। কিন্তু ৩/৪ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও কিনে দিতে পারেনি বই। সম্প্রতি তারা নতুন বই পেয়ে বেশ খুশি।
রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলাবাসীর ভরসা শলক কলেজের শিক্ষার্থী তারা। প্রশিতা ও প্রবিতা চাকমা নয়, দুমদুম্যা ইউনিয়ন থেকে পড়তে আসা সিত্তিধন চাকমা, ৫/৭ বছর আগেই মারা যায়, মা গেল বছর মারা যায়। জুমে কাজ করে দেওয়ার শর্তে দাধন নিয়ে কোন রকমে কলেজে ভর্তি হয় সে। কিন্তু বই কিনতে পারেনি।
প্রশিতা, প্রবিতা, সিত্তিধন চাকমাসহ ৩২ জন দরিদ্র শিক্ষার্থী নতুন পাঠ্য বই পেয়ে এখন খুশি। তারা নিয়মিত ক্লাস করছে। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে জেলা প্রশাসকের কাছে।
অভিবাবকরা জানিয়েছেন, আয় উপার্জন কমে যাওয়াই আর্থিক ধন্যতার কারণে তাদের ছেলে মেয়েদের বই কিনে দিতে পারেনি তারা। জেলা প্রশাসকে তাদের পাশে দাড়িয়ে যেন ভগবান সহায় হয়েছেন।
আব্দুল মালেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, জেলা প্রশাসক কলেজের ৩২ জন শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে পাঠ্য বই প্রদান করেছেন। ইতি মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ বইগুলো কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন করেন।
এমন মহৎ কাজের জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও শলক কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, জুরাছড়ি উপজেলায় কলেজে অধ্যায়নরত অধিকাংশ পরিবারের দরিদ্র পরিবারের সন্তান। জেলা প্রশাসক এদের পাশে দাড়িয়ে বিশার উপকার করেছেন।
জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ জানান, সম্প্রতি উপজেলার একমাত্র শলক কলেজ পরির্দশনে গেলে অধিকাংশ ছেলে মেয়েদের পাঠ্য বই সমস্যটা বিশেষ নজরে আসে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকে অবহিত করলে তিনি আর্থিক সহায়তাই প্রদান করেন।