রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আটক করা সাত জঙ্গি ও তিন কেএনএফ (কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) সদস্যকে রাঙামাটি জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তারের এ আদেশ দেয়।
আদালতের পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানায়, সাত জঙ্গি ও তিন কুকি-চিনের সদস্যকে রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। অফিস খুললে তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
জেল হাজতে প্রেরণ করা আসামীরা হলেন- জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সৈয়দ মারুফ আহমদ মানিক(৩১), ইমরান হোসাইন শাওন(৩১), কাওসার(৪৬), জাহাঙ্গীর আহম্মেদ(২৭), মো. ইব্রাহিম(১৯), আবু বক্কর সিদ্দীক বাপ্পী(২৩), পলক মিয়া(২৬) এবং কেএনএফ’র সদস্য জৌখান স্যাং বম(১৯), স্টিফেন বম(১৯), মাল সম বম(২০)।
অভিযানকালে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে ৯টি বন্দুক, বন্দুকের ৫০ রাউন্ড গুলি, কার্তুজ কেইস ৬২টি, হাত বোমা ৬টি, কার্তুজ কেইস ১টি, কার্তুজ বেল্ট ২টি, দেশীয় পিস্তল ১টি, ওয়াকিটকি সেট ১টি, চার্জার ৩টি, কুকিচিং লিখা ১০ টি মানচিত্র এবং অস্ত্র গোলা বারুদ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার সীমান্তবর্তী মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে র্যাবের অভিযানে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’ ও কেএনএফ সদস্যদের আটকের পর শুক্রবার সকালে বান্দরবানে সদরে নিয়ে আসা হয়।
পরবর্তীতে বিকেলে তাদেরকে র্যাব ও পুলিশের প্রহরায় রাঙামাটিতে আনা হয়। সন্ধ্যায় সাতটায় তাদেরকে আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, রুমা, বান্দরবান সদর, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি সেনা জোন ও র্যাব ৭ ও র্যাব ১৫ এর দুই হাজার অধিক সদস্য অভিযানে অংশ নেয়। এ অভিযানে আটক করা হয় ১০ জনকে।