মঙ্গলবার , ১৫ নভেম্বর ২০২২ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

সৌর বিদ্যুতে পানির কষ্ট দুর করা প্রকল্পটি পেল আন্তর্জাতিক পুরস্কার

প্রতিবেদক
হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
নভেম্বর ১৫, ২০২২ ৫:১৫ অপরাহ্ণ

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত রাঙামাটির দুর্গম চারটি এলাকায় সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে পানি সরবারহ প্রকল্পটি  জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৭ পুরস্কার  লাভ করেছে ।

গত ১২ নভেম্বর মিশরে রাঙামাটি জেলা পরিষদের কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরার ও পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন  হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ পুরস্কারের পাশাপাশি দেয়া হয় ১৫ হাজার ইউরো।

জেলা পরিষদ সূত্র জানায় ২০১৭ সালে রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসে ক্ষতিগস্ত হয় রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকা। এতে অনেক এলাকায় পানির উৎস নষ্ট হওয়ায় খাবার পানি সংকটে দুর্ভোগের পড়ে পাহাড়ের মানুষ। পানির এ কষ্ট নিরসনের জন্য রাঙামাটি জেলা পরিষদ ২০১৯ সালে  সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে  পানি সরবরাহ করা একটি প্রকল্প তৈরি করে জেলা পরিষদ। পাইলট প্রকল্পে মোট ৮০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দেয় ডেনমার্ক সরকার। এ টাকা চারটি উপজেলায় ভাগ করে  প্রকল্প নেয় জেলা পরিষদ।  টাকা কম হওয়ায় স্থানীয় জনগণ শারিরীক শ্রম দেওয়ার পাশাপাশি অর্থ দিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করে। এ কাজ শেষে পাড়ায় পাড়ায় দুর হয় শত বছরের পানির কষ্ট।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা পলাশ খীসা বলেন, জেলা পরিষদে যে বরাদ্দ দেয়া হয় এটি অত্যন্ত সামান্য। এ সামান্য টাকায় এত বড় কাজ হয়েছে এটি সত্যি অভাবনীয়। স্থানীয় জনগণ সেচ্ছায় শ্রম দিয়েছে। অর্থও দিয়েছে তারা।

টাকা কম হওয়ায় জেলার চারটি উপজেলায় ৮টি এলাকায় এ প্রকল্প নেয়া হয়  পাইলট প্রকল্পটি সফল হওয়ায় বিদ্যুৎ বিহিন আরো অনেক দুর্গম এলাকায় এ প্রকল্পটি  নেয়া হলে মানুষের পানির কষ্ট দুর হবে।

এ পুরস্কারকে দেশের জন্য বড় অর্জন বলছেন বাস্তবায়ন কারী সংস্থা রাঙামাটি জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন এ প্রকল্প বাড়ানো গেলে পাহাড়ে অনেক এলাকা বিশুদ্ধ পানি সরবাহের আওতায় আসেব। আমরা চেষ্টা করছি এটি আরো বাড়ানো যায় কিনা।

অংসুই প্রু বলেন,  এতগুলো দেশের মধ্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদ যে এ পুরস্কার লাভ করেছে এটি কম কথা নয়। এটি জেলা পরিষদের অর্জন নয়। এটি বাংলাদেশের অর্জন।

এ প্রকল্পের আওতায় চার উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মানুষ পানির সুবিধা পাচ্ছে। নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দুর পাহাড়ে পানির কষ্ট লাঘব করা সম্ভব মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে পরিচালিত প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে এবছর বাংলাদেশ, নেপাল, কেনিয়া এবং ভারত এ পুরস্কার পেয়েছে।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: