রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় ৭০-১০০ জন সন্ত্রাসীর আবাসন ক্যাম্পে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে সেনা বাহিনী।
অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব না হলে ক্যাম্প থেকে গুলি, কাতুজ, অস্ত্র বহন সরঞ্জামসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে বলে সেনা সুত্রে জানা গেছে ।
সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে যে ক্যাম্পে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করত।
সেনা সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার দক্ষিণ -পূর্বে ৪০-৫০ কিলোমিটার দূরে জুরাছড়ি- মৈদং-দুমদুম্যা সীমান্ত এলাকায় বেলতলা। বেলতলার পূর্বে বিচ্ছিন্ন একটি নেরা পাহাড়। এখানে যাওয়ার একমাত্র ভরসা পায়ে হাটা। পাহাড়টি খুবই নির্জন হওয়াই সাধারণ মানুষের যাতায়াত খুবই কম।
সেনা বাহিনীর সুত্রে জানা গেছে, এই পাহাড়ে গড়ে তুলতে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) ৭০-১০০ জন সন্ত্রাসীর আবাসন ক্যাম্প। এই ক্যাম্পের থেকে পরিচালনা করা হয় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সাধারণ মানুষদের ধরে এনে পাষবিক হিংস্রতা- নির্যাতন।
গেল ৪,৫,৬ জানুয়ারি অদ্বিতীয় দুই জুরাছড়ির জোনের সেনা বাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
সেনা সুত্রমতে ৭০-১০০ জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্ত্রাসীদের আবাসিক ক্যাম্পে সেনা বাহিনীর ঠের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে ক্যাম্প থেকে গুলি, কাতুজ, চাঁদাবাজির রশিদ বইসহ সন্ত্রাসীদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পাওয়া গেছে। এছাড়াও এক মেট্রিক্টটন খাদ্যসশ্য ও বিপুল পরিমাণের গবাদিপশু পাওয়া যায়।
এতে সাধারণ মানুষের মাঝে কিছুটা আতংক বিরাজ করলেও সন্ত্রাসীদের ক্যাম্পে বিশেষ অভিযানে স্থানীয়দের স্বস্তি এসেছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলকিফলী আরমান বিখ্যাত পিএসসি বলেন, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশে কাউকে অবৈধ ভাবে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসবাদ করার সুযোগ দেওয়া হবেনা। এলাকার সকলের সহযোগিতা মাধ্যমে এসব সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ড প্রতিরোধ করে উপজেলাকে সন্ত্রাস মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ উপজেলা গড়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তবে এ ব্যাপারে জেএসএসের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।