বুধবার , ১৫ মার্চ ২০২৩ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

জুরাছড়ির সাথে রাঙামাটি সরাসরি নৌ যোগাযোগ বন্ধ; বেড়েছে দুর্ভোগ

প্রতিবেদক
সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি, রাঙামাটি
মার্চ ১৫, ২০২৩ ২:২৮ অপরাহ্ণ

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় কাপ্তাই হ্রদ পানি অস্বাভাবিক ভাবে শুকিয়ে যাওয়ায় জুরাছড়ি-রাঙামাটির যাতায়াতে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বেড়েছে দুভোর্গ। অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। পরিবহন ব্যয় বেড়েছে।

যাত্রীদের অভিযোগ প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ভাড়া ইচ্ছেত নিচ্ছেন নৌযান চালকরা।

জুরাছড়ি উপজেলাবাসীর রাঙামাটি শহরের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম নৌ পথ।

উপজেলার প্রবাহিত শলক খালে বেয়ে বরকল উপজেলার কর্ণফুলি নদীতে মিলিত হয়।

কাপ্তাই হ্রদ ও শলক খাল তলদেশ ভরাট হয়েছে  অস্বাভাবিকভাবে।

নৌপথে অসংখ্য ডুবো চর জেগে উঠায় আটকে যাচ্ছে নৌযান।

উপজেলার সাথে নৌ যোগাযোগ এক প্রকার বিচ্ছিন্ন। এক হাত পানির গভীরতায় প্রতি বোটে ৪/৫ জন যাত্রী নিয়ে কোন রকমে বরকলের নতুন বাজারে (স্বাগতম জুরাছড়ি) পৌছানো যায়। এতে ভাড়া গুনতে হয় ১শ পঞ্চাশ টাকা। এর পর লাইনের লঞ্চে আসা লাগে রাঙামাটি । এতেও ভাড়া গুনতে হয় নব্বই টাকা। এতেও সঠিক সময়ে পৌছানো নিশ্চয়তা থাকেনা।

যক্ষাবাজারের মুদির দোকানদার দেবাশীষ দেব নাথ, মিঠূ পাল ও নীল মুনি চাকমা বলেন, পানি শুকিয়ে যাওয়াই মালামাল আনা খুবই কষ্ট হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া ছাড়াও সঠিক সময়ে পৌছানো অনিশ্চিত তাকে। এসবের মধ্যে কোন রকমে ব্যবসা ধরে রেখেছি।
উপজেলা হোটেল ব্যবসায়ী মোঃআলী বলেন, পরিবহনে অতিরিক্ত খরচের কারনে ৫/৭ প্রকারের নাস্তা তৈরী বন্ধ করে দিয়েছি।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন,বোট চরে আটকে পড়াই জেলা অফিসে সভায় সঠিক সময়ে পৌছাতে পারিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষি বিদ মোহাম্মদ মাহফুজ আহম্মদ বলেন, জরুরী কোন কাজে রাঙামাটি গেলে সঠিক সময়ে পৌছানো সম্ভব হয়না।
বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা বলেন, কাপ্তাই লেকের শলক খালটি পরিকল্পিত ভাবে খনন খুবই জরুরী।

এ অবস্থায় চলতে তাকলে আগামী ২/৩ বছরে শুস্ক মৌসুমে নদীতে পানি থাকবেনা। এতে আরো ভোগান্তি চারগুন হারে বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়-শলক খালে পানি না তাকলে ২২০ হেক্টর অধিক বোর জমি চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পরবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, জুরাছড়ির এখন যাতায়তের দুভোর্গ শুস্ক কাপ্তাই হ্রদ। শুস্ক মৌসুম এলেই বেড়ে যায় যাত্রীদের ভোগান্তী ও অতিরিক্ত পরিবহন খরচ। কাপ্তাই হ্রদের পাশাপাশি উপজেলার প্রবাহিত শলক খাল খনন করা খুবই জরুরী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, শলক খালে দিন দিন পানি শুকিয়ে যাচ্ছে বাড়চ্ছে যাত্রীদের ভোগান্তিও। বরকলের আমতলা পযন্ত গাড়ী যোগে যাতায়তের জন্য রাস্তা উন্নয়নে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শলক খাল রক্ষায় খনন করার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে অনুরোধ জানানো হবে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: