হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট এর মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৫ টি কেন্দ্রে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। তৎমধ্যে ৩ টি প্রাক- প্রাথমিক এবং ১ টি করে ধর্মীয় শিক্ষা বয়স্ক কেন্দ্র ও ধর্মীয় শিক্ষা শিশু কেন্দ্রে এই কার্যক্রম চলছে বলে জানান, হিন্দু কল্যান ট্রাস্ট রাঙামাটির সহকারী প্রকল্প পরিচালক বাপ্পী পাল জয়।
তিনি আরোও বলেন , মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম” ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর অধীনে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট দ্বারা বাস্তবায়িত একটি মহৎ প্রকল্প। শিক্ষা ব্যক্তির আত্মা ও আধ্যাত্মিক চিন্তা চেতনাকে উন্নীত করে, যার ফলে শিক্ষার সাথে নৈতিক শিক্ষাকে সমন্বয় করে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট এর মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা কার্যক্রমের কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ত্রিপুরা সুন্দরী কালী মন্দিরের গীতা শিক্ষিকা পাপীয়া চক্রবর্তী বলেন, এই কেন্দ্রে সপ্তাহে ৫ দিন (শুক্রবার ও শনিবার ব্যতীত) বিকাল ৪টা হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত ১০ বছর বয়স হতে তৎ উর্ধে বয়সী ছেলে মেয়েদের গীতা ক্লাস করানো হয়।পাশাপাশি সকল ছাত্র ছাত্রী দের সহজ ধর্মীয় শিক্ষা এবং আমাদের পড়া বই ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হয়।
কেপিএম কয়লার ডিপু হরি মন্দির প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা নিশি মল্লিক বলেন, সপ্তাহে ৫ দিন প্রাক- প্রাথমিক পর্যায়ে ৪ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের পাঠদান করা হয়। সেই সাথে বিভিন্ন মন্ত্র শেখানো হয়। এখানে সনাতন ধর্ম শিক্ষা বই থেকে সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ধারণা এবং বিভিন্ন দেব দেবীর প্রণাম মন্ত্র পড়ানো হয়। এছাড়া আমার বই থেকে কবিতা, ছড়া, সংখ্যা, বাংলা ও ইংরেজি অক্ষর শেখানো হয়। এছাড়াও ছড়া গান, ব্যায়াম, শিক্ষা মূলক গল্প শেখানো হয়। কাগজ দিয়ে ফুল তৈরি ও ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে ফুলের নাম, ফলের নাম, পাখির নাম, মাছের নাম পশুর নাম মহাপুরুষ এর নাম, দেবদেবীর নাম পড়ানো হয়।
রাইখালী গণ শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থী বিনি নন্দী, রুমি দে এবং কেপিএম কেন্দ্রের জয়ন্তী মল্লিক ও প্রনয় মল্লিক বলেন, আমরা এই কেন্দ্রে এসে সপ্তাহে ৫ দিন গীতা শিক্ষা, সংস্কৃত মন্ত্র, উচ্চারণ ও ধর্মীয় আচার আচরণ এবং লেখা শিখি।
কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি এই সব কেন্দ্র গুলোতে নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা হয়,যা এই মুহূর্তে আমাদের বেশি প্রয়োজন।