শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকালে রাবিপ্রবির মিলনায়তনে আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।
ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগের প্রভাষক সৌরভ দত্তের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা,রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ,প্রক্টর জুয়েল সিকদার,সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ধীমান শর্মা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানীরা তাদের নিশ্চিত পরাজয় উপলব্ধি করেই তাদের অন্যতম দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তথা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মেধাবী মানুষদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। মূলত বাংলাদেশকে মেধাশূন্য এবং ভবিষ্যতে বিশ্ব দরবারে যাতে স্বাধীন বাংলাদেশ সহজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সে লক্ষ্যেই পরিকল্পনা করে তালিকা অনুসারে এদেশের কবি,সাহিত্যিক,সাংবাদিক,শিক্ষক, চিকিৎসক,প্রকৌশলী সহ নাম নাজানা আরো অনেক কে অত্যন্ত নির্মম ও জঘন্য ভাবে হত্যা করা হয়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন স্বাধীনতার স্বপ্ন বুনন এবং আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মানে বুদ্ধিজীবীদের অবদান অপরিসীম তাই নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার সেসব সূর্যসন্তানদের আত্মত্যাগের কথা ভুলে গেলে চলবে নাহ!অধ্যাবসায়, দেশ প্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের মধ্য দিয়ে তাঁদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
আলোচনা সভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান,শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।