পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বাতিল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে চাকমা সার্কেলের প্রথাগত নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনগণ এই মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন। আদিবাসীদের অধিকার সম্বলিত আইনে প্রতিষ্ঠত শত শত বছরের প্রথা ও রীতিনীতির কার্যকারিতা নসাৎ করার চলমান ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পাহাড়ের সর্বস্তরের উপজাতি একই দাবিতে আজ মানববন্ধনে রাজ পথে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি।
কাপ্তাই চিৎমরম মৌজার হেডম্যান ওয়াঅং মারমার সঞ্চালনায় ও গৌতম দেওয়ান চাকমার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরুপা দেওয়ান তিনি বলেন,আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এ সংগ্রম ও আন্দোলন চলবে। তিনি দাবি করে বলেন, এই আইনটি বাতিল করার যে, ষড়যন্ত্র চলছে সে ষড়যন্ত্র নসাৎ করতে আমরা প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
মানবাধিকার কমিশনের সদস্য, হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চিংকিউ রোয়াজা বলেন,১৯০০ সালের রেগুলেশন নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে সে ষড়যন্ত্র বাতিলের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এআইন বাতিল করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের হেডম্যান, কার্ব্বারী প্রথা আর থাকবে না। এ আইন বাতিল হলে এখানে জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদসহ অনেক কর্মকান্ড আর থাকবে না।
মানবেন্দ্র লারমা ফাউন্ডেশনের সভাপতি জেএসএস নেতা বিজয় কেতন চাকমা বলেন,নরমত নরম আর গরমত গরম একথা বলেছেন আমার নেতা সন্তু লারমা। এই কথার সূত্রধরে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে শক্ত হাতে অবস্থান নিয়ে রাজ পথে থেকে অধিকার আদায় করে নিতে হবে। বিজয় কেতন চাকমা হিংসাত্বক ভাষায় স্থানীয় বাঙালিদের বিরুদ্ধে ও সরকারের বিরুদ্ধে কট্টর ভাষায় উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেছেন।
অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেএসএস নেতা বাবু প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা তিনি বলেন, ১৯০০ সালের প্রথা নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে জুম্ম জনগণ রুখে দাঁড়াবে। সরকার দ্রুত এই আইনটি যেন যথাযথ বহাল রাখে তাই আজকের মানববন্ধনে এদাবি করছি আমরা। সরকারকে বলবো পাহাড়ের সহজ সরল মানুষের আর ঠকাবেন না।
রাঙামাটি নাগরিক পরিষদের সভাপতি ও জেএসএস নেতা গৌতম দেওয়ান বলেন , ১৯০০ সালের রেগুলেশন আইনটি তৎকালীন সময়ে বাস্তবায়ন করতে অনেক প্রতিকূলতা বহন করতে হয়েছিল আদিবাসী সম্প্রদায়ের। আজ ফের তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে ১৯০০ সালেন রেগুলেশন বাতিল করা নিয়ে।
এছাড়াও উক্ত মানববন্ধনে হেডম্যান, কার্ববারী, স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে ১৯০০ সালের শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে বক্তব্য রাখেন।