রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় সম্ভাব্য নাশকতা ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সকাল থেকেই বাঙ্গালহালিয়া মোড়, সড়কের চত্বর ও আশপাশ এলাকায় তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা রোধে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোর থেকেই মাঠে অবস্থান নেন। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের নাশকতা প্রতিরোধে নানা স্লোগান দেন এবং এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে থাকেন।
অবস্থান কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন রাজস্থলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাস্টার খলিলুর রহমান শেখ ও সাধারণ সম্পাদক মংঞোই মারমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি আবুল হাশেম, সহসভাপতি চথোয়াইপ্রু মারমা, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন, শ্রমিকদলের সভাপতি মোঃ হামিদ, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব উজ্জ্বল কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, প্রচার সম্পাদক ডালিম বড়ুয়া, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ রুবেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সুমন খান, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আয়ুব চৌধুরী, এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকু কুমার দেসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বহু নেতাকর্মী।
বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের সকাল ৭টার দিকে বাঙ্গালহালিয়ায় বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে স্লোগান দিয়ে এলাকায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও যেকোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাস্টার খলিলুর রহমান শেখ বলেন,“আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আওয়ামী লীগের কোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার প্রচেষ্টা হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে থেকে তা প্রতিহত করবে।”
একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক মংঞোই মারমা বলেন, “আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচির লক্ষ্য একটাই — এলাকায় শান্তি বজায় রাখা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করা।”
স্থানীয় বাসিন্দারাও জানান, বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির কারণে এলাকায় সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে ছিল।


















