কখনো ভগবান শ্রী কৃষ্ণের বিশ্বরুপ, কখনোও রাধা কৃষ্ণের যুগলবন্ধী, কংস রাজার কারাগার, শিশু কৃষ্ণ, শিশু পাল, মা যশোদা, দৈবকি, রাম সীতা প্রভৃতি অপরুপ সেজে অংশ নিয়েছে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় শত শত নারী পুরুষ ভক্ত শিষ্য।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার শ্রী শ্রী গৌর নিতাই নামহট্র প্রচার কেন্দ্রের আয়োজনে মিশন এলাকা নামহট্র প্রচার কেন্দ্র হতে এই মহা শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এসময় মহা শোভাযাত্রাটি মিশন এলাকা হতে বের হয়ে চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার এবং লিচুবাগান কুষ্ঠ হাসপাতাল প্রদক্ষিণ করে আবারও মিশন এলাকায় নামহট্র প্রচার কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।
এর আগে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই মহা শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য। এসময় উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু, কাপ্তাই উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুবর্ণ ভট্টাচার্য, মিশন এলাকা সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি শিমুল গুপ্ত, ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জুয়েল চাকমা, কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, মিশন এলাকা শ্রী শ্রী গৌর নিতাই নামহট্র প্রচার কেন্দ্রের সভাপতি বঙ্কু বিহারী দাস, সাধারণ সম্পাদক পালক মাধব দাস, অর্থ সম্পাদক অমল হরি কৃপা দাস, প্রচারসম্পাদক পরমেশ ঋষিকেশ দাস সহ অসংখ্য ভক্ত উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এদিন সকালে মঙ্গল আরতি, দর্শন আরতি ও গুরু পুজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে মিশন এলাকা শ্রী শ্রী গৌর নিতাই নামহট্র প্রচার কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পালক মাধব দাস বলেন, যখন এই ধরাধামে অসুরের প্রার্দুভাব বেড়ে যায়, তখন পরমেশ্বর ভগবান নিজে এসে অসুরদের হত্যা করেন এবং ধর্ম সংস্থাপন করেন।