রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ দেবতাছড়ি পাড়া।
গত রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা। মাচাং ঘরে বসে স্থানীয় মধ্য বয়সী মেঘমালা তনচংগ্যা সহ আট দশ জন নারী পুরুষ বিলেতি ধনিয়া পাতা আঁটি বাঁধছেন। সাপ্তাহিক কাপ্তাই বড়ইছড়ি বাজার এবং কাউখালি ওয়াগ্গা বাজারে এই বিলাতি ধনিয়া পাতা বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি বেপারিরা এই স্থান হতে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এই বিলেতি ধনিয়া পাতা।
এসময় কথা হয় মেঘমালা তনচংগ্যা ও মনিমালা তনচংগ্যার সাথে। তাঁরা জানান, বিগত ১০ বছর ধরে তাঁরা ক্ষেত হতে ধনিয়া পাতা তুলে দলবেঁধে মাচাং ঘরে আঁটিবেঁধে তারপর বিক্রি করে। প্রতিটি আঁটির মূল্য খুচরা বাজারে একশত টাকা । অনেক সময় বেপারিরা ঘরে এসে পাইকারি দামে নিয়ে যাচ্ছেন। এই কাজে আমাদের সংসার বেশ চলছে বলে তাঁরা জানান। প্রত্যেককে তাদের নিজস্ব কৃষি জমিতে এই ধনিয়া পাতার চাষ করেছেন বলে জানান তাঁরা।
এই মাচাং ঘরের অদূরে বসবাস করেন ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চিরনজীত তনচংগ্যা। এসময় কথা হয় তাঁর সাথে। তিনি বলেন, মাঘ এবং ফাল্গুন মাসে আমাদের পাড়ার কৃষকরা এই বিলেতি ধনিয়া পাতার বীজ জমিতে রোপণ করেন এবং বৈশাখ মাস হতে আশ্মিন মাস পর্যন্ত জমি হতে ধনিয়া পাতা তুলে বিক্রি করেন তারা। তিনি আরোও বলেন ওয়াগগা ইউনিয়নের দেবতাছড়ি, মুরালি পাড়া, সাফছড়ি সহ অনেক পাড়ায় একরের পর একর জায়গাজুড়ে বানিজ্যিকভাবেই চাষ হয় এই বিলাতি ধনিয়ার।
ভর্তা কিংবা চাটনি কিংবা তরকারিতে সুগন্ধি এই পাতা স্বাদকে বাড়িয়ে তোলে বহুগুণ বলে বলেন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান আহমেদ। তিনি আরোও বলেন,কাপ্তাই উপজেলার একটি বিশেষ ফসল বিলাতি ধনিয়া। এটির চাষাবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। সারাদেশে বিলাতি ধনিয়ার চাহিদা বাড়ছে। এটি চাষাবাদ করে কৃষক লাভবান হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে।