নেতৃত্ব, ইনসাফ, মানবসেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের নাম অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী। তিনি টানা অপরাজিত হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের চারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সততা ও ন্যায়ের আলোকবর্তিকা। দুর্নীতির ছোঁয়া কখনও তাঁকে স্পর্শ করেনি। আজীবন নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও জনসেবাকে এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকে তিনি নিজের আদর্শ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমেদ আনোয়ারী প্রথম হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তৎকালীন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মরহুম মোস্তাক আহমেদ চৌধুরীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রথম নির্বাচনকালীন অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী ছিলেন টেকনাফ উপজেলা জামায়াতের আমীর। আর অন্যদিকে মরহুম মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ছিলেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি।
বলতে গেলে ভোট যুদ্ধ ছিল এমন জামায়াতের উপজেলা আমীর বনাম বিএনপির উপজেলা সভাপতি। তখন ক্ষমতাসীন দলেরই ছিলেন মরহুম মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। এমপি মন্ত্রীসহ সব জাতীয় নেতাদের পরিচিত স্থান ছিল মোস্তাক আহমেদের বাড়ী। লোকজন বলাবলি করতো আনোয়ারী ২ হাজার ভোট ক্রস করতে পারবেনা। ভোট সব মোস্তাক আহমেদ চৌধুরীর। অবশেষে ১১০০ ভোট বেশী ব্যবধানে বিজয় দান করেন। প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। মরহুম মোস্তাক আহমেদের পরাজয় ঘটে। সেই থেকে এখনো তিনি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের অপরাজিত চেয়ারম্যান।
এবার আগামী সংসদ নির্বাচনেও মুখোমুখি হতে যাচ্ছে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর এবং জেলা বিএনপির সভাপতি। যদিও জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী দলীয়গতভাবে এখনো চূড়ান্তভাবে সিলেকশন হননি। তবে নেতা-কর্মীরা আশা করছেন আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীই উখিয়া-টেকনাফে প্রার্থী মনোনীত হবেন।
যদি মনোনীত হয় তাহলে জনতা ভোটের লড়াই দেখবে কক্সবাজার জেলা জামায়েতের আমীর বনাম জেলা বিএনপির সভাপতির মধ্যকার খেলা। ভোটের প্রতিযোগীতা হবে হাড্ডাহাড্ডি।