পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাহ সনদ প্রদান আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচলন শুরু করা হয়েছে।
সোমবার সকালে রাঙামাটি শহরের রাজবাড়ির সাবারাং রেস্টুরেন্টে এক অনুষ্ঠানে এ বিবাহ সনদ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চাকমা সার্কেল চীফ রাজা দেবাশীষ রায়।
দীর্ঘ নয় বছর গবেষণা ও সকল জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে এ সনদ প্রদানে আদিবাসী জনগোষ্ঠী ঐকমত হয়। বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, প্রোগ্রেসিভ, সিএইচটি উইমেন্স এক্টিভিস্ট ফোরাম এ গবেষণার কাজটি করে।
বিবাহ সনদ প্রদান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চাকমা সার্কেল চীফ রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, বিদেশ গমন, নারী পুরুষ উভয়ই নিপীড়ন কমবে। পাশাপাশি সমাজের বিবাহ নিয়ে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হবে। তবে এটি বাধ্যতা মুলক নয়। কেউ প্রয়োজন মনে করলে এ সনদ গ্রহণ করতে পারবে।
সিএইচটি উইমেন্স এক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি টুকু তালুকদারের সভাপতিত্বে সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদে সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা, শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান। বিবাহ সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিন দম্পতিকে বিবাহ সনদ প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত পাহাড়ে আদিবাসী বিবাহে লিখিত কোন দলিল না থাকায় বিদেশ গমণের পর বিদেশে অবস্থানকালে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়েন। এছাড়াও দলিল না থাকায় বিবাহ নিয়ে সমাজে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিবাহ সনদ চালু করা হলে এ সমস্যা সৃষ্টি হবে না। হেডম্যান (মৌজাপ্রধান), রাজা এ বিবাহ সনদ প্রদান করবে।