রাস্তার দুই পাশে দাড়িয়ে হাজারো কর্মী ও সমর্থক ফুল ছিটিয়ে আর গলায় মালা পরিয়ে বরণ করে নিলেন পার্বত্য বান্দরবানের ৩০০ নং আসনে টানা ৭ম বারের মতো নির্বাচিত এমপি বীর বাহাদুর উশৈসিং কে।
তাছাড়া দুই শতাধিকেরও বেশি বাহারি তোরণে সেজেছে পুরো বান্দরবান শহর। এবং নানান রঙ্গের শুভেচ্ছা ব্যানারে ছেয়ে গেছে নগরীর প্রবেশদ্বার হুলুদিয়া থেকে শুরু করে পুরো শহরে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বীর বাহাদুর উশৈসিং এর গাড়ি বহর মোটর শোভাযাত্রা সহ ঐতিহাসিক রাজার মাঠে পৌছে বিকেল ৫ টায়।
এরপর ঐতিহাসিক রাজার মাঠে বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি কে ৭ম বারের মতো এমপি নির্বাচিত হওয়ায় নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়।
গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, এত ভোট দিয়ে আমার এলাকাবাসী আমাকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। ৭টি বার নির্বাচিত করে যারা আমাকে এ এলাকার সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এ ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। আগামীতেও আমি আপনাদের পাশে আছি।
তিনি আরও বলেন, আমার এ জীবন এ এলাকার মানুষের সেবার জন্য উৎসর্গ করে দিতে চাই। পাহাড়ি-বাঙালি এগুলোর ভেদাভেদ আমি করিনা। আমি বোঝার চেষ্টা করি সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য, কল্যাণের জন্য আমার ক্ষুদ্র মেধায় যতটুকু সম্ভব সেবা করায় আমার পণ।
বান্দরবানের রাজার মাঠে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো.শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর, পৌর মেয়র মোঃ সামসুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যসাপ্রু, সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কান্তি দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সৌরভ দাশ শেখর সহ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত ১৯৯১, ৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পার্বত্য বান্দরবান থেকে ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বীর বাহাদুর উশৈসিং।
এছাড়াও ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তির পূর্বে এ সংক্রান্ত সংলাপ কমিটির সদস্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ১৯৯৮ সালে উপমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রথমবার এবং ২০০৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় দ্বিতীয়বার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও নবম জাতীয় সংসদের সংসদ কমিটি এবং পার্বত্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। প্যানেল স্পীকার ছিলেন, যার ফলে ২০১৩ সালের ২২ জুলাই তিনি খন্ডকালীন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।