দীর্ঘ চার মাস ১২ দিনের কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও প্রাণ ফিরেছে রাঙামাটির কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে।
কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন উপ কেন্দ্রের প্রধান মাসুদ আলম গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদক কে বলেন, ৩১ আগস্ট মধ্য রাত হতে কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মোট রাজস্থ আয় হয়েছে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৪ শত ৫ টাকা। তিনি আরোও বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৫ হাজার ১ শত ৩৬ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এই অবতরণ কেন্দ্রে শুল্ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীরা বিক্রির উদ্যোশে নিয়ে গেছেন।
এদিকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হওয়ার প্রথমদিন শুক্রবার কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সারি সারি চাপিলা, কাচকি সহ নানা জাতের মাছের ড্রাম নিয়ে ভীর করছে জেলের বোট। আর ব্যবসায়ীরা শুল্ক পরিশোধ করে সেসব মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাতে বরফ দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে তুলছে ট্রাকে। ব্যবসায়ী এবং জেলেদের মাঝে দীর্ঘদিন পর কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সবাই ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
এসময় কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, প্রথমদিনে মাছের আকার ছোট দেখে হতাশ হলেও তারা আশা করছেন, পরবর্তীতে আশানুরূপ মাছ ধরা সম্ভব হবে।
স্থানীয় জেলে সুজন চাকমা ও রশিদ আহমেদ জানান, ব্যবসায়ীরা তালিকাভুক্ত জেলেদের কাছ থেকে মাছ বুঝে নিচ্ছেন। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর প্রথম দিনেই মাছ পাওয়া যাচ্ছে কিছুটা কম। কাচকি-চাপিলা মাছের আকারও অনেকাংশে ছোট। কেউ কেউ প্রথম দিকেই মাছ কম পাওয়ায় বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন। বলছেন, প্রথম দিকে মাত্রাতিরিক্ত মাছ পাওয়া গেলে মৌসুম শেষে পাওয়া যায়নি। চলতি মৌসুমের শেষদিক পর্যন্তও মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।