নির্মাণকাজের দীর্ঘসূত্রতায় দুই মাসের বেশী অধিক খাগড়াছড়ি জেলা শহরের জনগুরুত্বপূর্ন হাসপাতাল সড়কটি বন্দ রেখেছে খাগড়াছড়ি পৌরসভা। এতে রোগীদের যাতায়াত সহ স্থানীয়দের দুর্ভোগের শেষ নেই। বিকল্প সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ ও ভাঙ্গা হওয়ায় চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্রুত কাজটি শেষ করার দাবি স্থানীয়দের ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরের আইইউডিপি প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে থানা মোড় থেকে মধুপুর বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কার, ড্রেন নির্মাণ ও ফুটপাত তৈরীর কাজ হাতে নেয়া হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে গেল অক্টোবরে কাজের কার্যাদেশ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে প্রকল্পের বরাদ্দ কম থাকায় কাজ শুরু করতে দেরী হয়ে যায়।
সরেজমিনে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল সড়কের টিএণ্ডটি গেইট, হাসপাতাল গেইট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কয়েক জনের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের।
টিএণ্ডটি গেইট এলাকার বাসিন্দা নার্গিস আক্তার বলেন, রমজান থেকে সড়কটি কাজ শুরু করায় থানা মোড়ের সামনে থেকে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করা হয়। তার কিছুদিন পর ড্রেনের কাজের নামে সড়কে গর্ত করা হয়। হেটে হেটে বাড়ি আসার পথে গর্তে পড়ে নাকে ব্যথা পাওয়া ক্ষত দেখান তিনি।
হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা এক স্বজন জানান, দীঘিনালার মেরুং থেকে রোগী নিয়ে খাগড়াছড়ি আসার পথে ভুলে আগের সড়কে ঢুকে যান। কিছু দূর আসার পর দেখেন সড়কে বড় গর্ত। পরে ফিরে এসে থানা মোড়ে দাড়িঁয়ে অনেকক্ষণ পর বিকল্প সড়ক খুঁজে হাসপাতালে যায়। এতে করে আধাঘন্টা সময় চলে যায়।
অটো রিক্সা চালক মহরম মিয়া জানান, বিকল্প সড়কে আসতে সময় যাচ্ছে। ভাঙ্গা ও টিলা রাস্তা হওয়ায় কষ্টও হচ্ছে। তারপর যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে নানা কথা শুনতে হচ্ছে।
বিমলা ত্রিপুরা নামে এক রোগীর স্বজন জানান, তিন দিন ধরে খাগড়াপুরের বাড়ি থেকে আসা যাওয়া করছেন। আগে যেখানে ৩০ টাকায় আসা যাওয়া করা যেত সেখানে এখন ৫০ টাকা লাগছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, কোন প্রকার অগ্রীম নোটিশ ছাড়া হাসপাতালের সড়ক বন্ধ করেছে পৌরসভা। বিকল্প সড়কটি ব্যবহার করে রোগীদের হাসপাতালে আসতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে চালুর দাবি জানান তিনি।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কাজটি শেষ করে চলাচল উপযোগী করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃষ্টির জন্য ও অর্থ বরাদ্দ পেতে কাজ শুরু করতে বিলম্ব হওয়ায় সাময়িক এ সুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।