রাঙামাটির লংগদু-নানিয়ারচর সংযোগ সড়কের রাস্তা তৈরীর কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ফলে লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে।
জানাগেছে, রাংগামাটি জেলার বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলাবাসীর দাবীর ফলে স্থানীয় লংগদু উপজেলার ৭জন ইউপি চেয়ারম্যানদের উদ্যোগে লংগদু উপজেলার ইসলামাবাদ হতে শুরু করে নানিয়ারচর সীমানা পর্যন্ত মোট ২৯ কিলোমিটার মাটি কেটে চলাচলের রাস্তা তৈরির প্রাথমিক কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নানিয়ারচর লংগদু সংযোগ সড়কের কাজের শুভ উদ্বোধন করেন,লংগদু জোনের উপ অধিনায়ক আহমেদ ফারসাদ কবির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আলম, লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনর রশীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু সহ অন্যান্যরা।
রাস্তা নির্মানের জন্য সড়ক ও জনপদবিভাগ থেকে ৪টি ডোজার বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। ২টি ডোজার চলে আসছে আরও ২টি আসবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল বলেন,আমরা আপাদত মাটি কেটে রাস্তা করে দিব। রাস্তা তৈরি কাজের সময় লংগদু জোনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সহ সকল ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
কাজের ব্যয়ভার কিভাবে করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নামে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ কৃত অর্থ থেকে একটা অংশ রাস্তার কাজে ব্যয় করা হবে। এছাড়াও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে ফান্ড দেওয়া হবে।
তাছাড়া সবকিছুতে সর্বাত্বক সহযোগিতা দিচ্ছেন লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু বলেন,এটা উপজেলা বাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নানিয়ারচর লংগদু সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করি। আমরা বিশ্বাস করি বড় গাড়ি চলাচল উপযোগী না হলেও আগামী ১ মাসের মধ্যে মটর সাইকেল,জীপ,চাদের গাড়ি সহ ছয় চাক্কা গাড়ি চলাচল উপযোগী করা হবে।
স্থানীয়রা জানায়, লংগদু-নানিয়ারচর সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় আমাদের খুব ভালো লাগছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল ব্রিজ করা। সেটাও হয়েছে। এখন শুধু
মাত্র ২৯ কিলোমিটার রাস্তার জন্য রাঙামাটি জেলা সদরে নৌ-পথে যেতে দুই উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিলো। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে। সড়ক পথ তৈরী হলে এক-দেড় ঘন্টায় রাঙামাটি জেলা সদরে যাওয়া যাবে। সময় ও অর্থ অপচয় কম হওয়া সহ বৃদ্ধি পাবে অত্র উপজেলার শিক্ষার মান,এবং রোগীর সেবা ব্যবস্থা।