চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া-ঈদগাঁও অংশজুড়ে সড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে বালুর স্তূপ রেখে ব্যবসা করছে প্রভাবশালী মহল। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি যেকোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করা এ ব্যস্ততম মহাসড়কে জনজীবন এখন ঝুঁকির মুখে, অথচ প্রশাসন রয়েছে নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল–কলেজগামী শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা চলাচল করে। বালুর স্তূপ যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় বাতাসে উড়ে এসব বালু পথচারীর চোখ-মুখে লাগে। এতে একদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে চালকরা হঠাৎ দৃশ্যমানতা হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের উভয় পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বিপুল পরিমাণ বালু। উপজেলার হারবাং, ফাঁসিয়াখালী, খুটাখালী, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও উপজেলার নতুন অফিস, নাপিতখালী, চাকার দোকান, ঢালারদোয়ার, হাসেরদিঘী এলাকায় অন্তত অর্ধ শতাধিক স্থানে এভাবে বালুর স্তুপ দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী হওয়ায় এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চকরিয়া উপজেলার এক নেতা বলেন, “চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক সরু ও বাঁক বেশি হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। তার ওপর সড়কের পাশে বালুর স্তূপ রাখা মোটেও কাম্য নয়। একাধিক স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থী জানান, প্রতিদিন ক্লাসে যাওয়া আসার সময় চোখে মুখে বালু ঢুকে যায়। আমরা আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করি।
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেব বলেন, সড়কের পাশে বালু রাখা অবৈধ। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন হওয়ায় তারা সহযোগিতা চাইলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী জানান, বালু ব্যবসায়ীদের মৌখিক ও লিখিতভাবে সতর্ক করা হলেও তারা সরে যাচ্ছে না। শীঘ্রই উচ্ছেদে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।