মঙ্গলবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

মানুষ বাঁচাতে হলে আগে নদী বাঁচাতে হবে, নদী দিবসের সভায় বক্তারা

প্রতিবেদক
সেলিম উদ্দীন, কক্সবাজার
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ ৪:১৪ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারে নদী দিবসের আলোচনা সভা ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, ‘নদী কেবল পানি প্রবাহের মাধ্যম নয়, বরং লাখো মানুষের জীবিকা, খাদ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক ঐতিহ্যের প্রধান উৎস। মানুষ বাঁচাতে হলে আগে নদী বাঁচাতে হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বাঁকখালীসহ জেলার অন্য নদীগুলো ক্রমাগত সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। দখলে-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে’। বিশ্ব নদী দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে আলোচকরা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় কক্সবাজার ডিসি অফিস চত্বরে এই কর্মসূচির আয়োজন করে উন্নয়ন সংস্থা হেল্প কক্সবাজার, এএলআরডি ও পরিবেশ সংগঠন সেভ দ্য কক্সবাজার।

কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাব’র সভাপতি ও সেভ দ্য কক্সবাজার’র চেয়ারম্যান তৌহিদ বেলাল’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রধান আলোচক ছিলেন- হেল্প কক্সবাজার’র নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম। অন্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাংবাদিকনেতা নুরুল আমিন হেলালী, সাংবাদিক ও শিশু সংগঠক এম জসিম উদ্দিন, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরামের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বাহাদুর, হেল্পের চিফ কোঅর্ডিনেটর আবদুর রহিম বাবু, ডিএলডিসি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন সুমন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী কামরুল হাসান, আমানুল হক আমান, রফিকুল ইসলাম, লোকমান হাকিম ইমন ও ফাতেমাতুজ জোহরা।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘কক্সবাজার জেলার অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য, কৃষি, মৎস্য, পরিবেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে নদীগুলোর অস্তিত্ব অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তীরজুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ জনবসতি ও বাণিজ্যিক অবকাঠামোর কারণে চরম হুমকির মুখে পড়েছে বাঁকখালীসহ অন্য নদীর গতিপথ। এর ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত ও নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে দিনে দিনে। এছাড়া নদীতে পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ফেলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কৃষি জমি থেকে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার সরাসরি নদীর পানিতে মিশে জলজ প্রাণী ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকি তৈরি করছে’।

সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী রতন দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রধান আলোচক আবুল কাশেম বলেন, ‘নদীর প্রাণ হারালে তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মাছ ধরা, কৃষি, পরিবহন, পর্যটন ও সংস্কৃতিভিত্তিক জীবিকা হুমকির মুখে পড়ে। এছাড়া নদীর তীরবর্তী দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারণ তারা বিকল্প জীবিকা বা পানির উৎস পায়না’। তিনি বলেন, ‘এই বাস্তবতায় নদী সংরক্ষণকে জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে দেখা জরুরি’।

সভাপতির বক্তব্যে তৌহিদ বেলাল বলেন, ‘নদী একটি জীবন্ত স্বত্তা। মানুষ বাঁচাতে হলে আগে নদী বাঁচাতে হবে’। তিনি বলেন, ‘নদী রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া শুধু একটি পরিবেশগত পদক্ষেপ নয়, এটি জীবন-জীবিকা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা বাঁকখালীসহ জেলার অন্য নদীগুলোর প্রাণপ্রবাহ ফিরিয়ে আনবে, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করবে এবং পানির অধিকার সুরক্ষিত করবে’। সভায় বক্তারা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক নদীর সীমানা চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান জোরদার করার দাবি জানান।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: