মঙ্গলবার , ২৪ মে ২০২২ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

নিখিল দীপংকর দুজনই পাহাড়ি; কার নেতৃত্ব চায় পাহাড়িরা?

প্রতিবেদক
হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
মে ২৪, ২০২২ ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রামের মাদার ডিস্ট্রিক রাঙামাটি। এ জেলার রাজনীতি অর্থনীতি দেশকে প্রভাবিত করে। এ জেলার রাজনীতি পুরো দেশে প্রভাবিত করে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের যত বুদ্ধিজীবী বসবাস করেন তার মধ্য সবেচেয়ে বেশী বসবাস করে রাঙামাটিতে। পাহাড়ে কত রাজনীতি দল। কোন দলের সম্মেলন কখন হয় আম জনতা খবরও রাখে না। কিন্তু রাঙামাটি আওয়ামীলীগের এ সম্মেলন প্রবল আগ্রহ বাড়িয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক নিয়ে মানুষের এত আকর্ষণ নেই। আকর্ষণ, সভাপতি পদকে কেন্দ্র করে। এ পদে যে দুজন প্রতিদ্বন্দীতা করছেন দুজনই পাহাড়ি ।একজন দীপংকর তালুকদার। অন্যজন্য নিখিল কুমার চাকমা। এ সম্মেলনে  দীপংকরের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী নিখিল কুমার।

সাধারণ পাহাড়িরা চাচ্ছে এ সম্মেলনে পরিবর্তন আসুক। যদিও এ চাওয়া তেমন প্রভাব ফেলবে না সম্মেলনে।  সাধারণ মানুষ যদি ভোট দিতে পারত তাহলে নিশ্চিত নিখিল কুমার বিজয়ী হবে।

কারণ সাধারণ খালি চোখে দেখলে পাহাড়িদের কাছে দীপংকর আর নিখিল জনপ্রিয়তা আকাশ পাতাল। অধিকাংশ পাহাড়ি দীপংকরকে পছন্দ করেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুধু নিখিল বন্দনা। পাহাড়ি বুদ্ধিজীবীরাও চাচ্ছে নিখিল নেতৃত্বে আসুক।  তাই তাদেরও যেন এখন নিখিল বন্দনা।

পাহাড়িরা দীপংকরকে পছন্দ করে না তাঁর বেফাঁস বক্তব্য। যত্রতত্র অবৈধ অস্ত্রের কথা বলেন। পাহাড়িরা মনে করে দীপংকর এসব কথা বলেন নিজের চেয়ার ঠিক রাখার জন্য।  তাঁর এ বক্তব্যর একটি সংকট তৈরি করে। এ সংকট নিরসন করতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বাধ্য হয়ে অভিযানে যায়। এ অভিযানে নিরীহ অনেক পাহাড়ি মানুষ কষ্ট পায়। হয়রানীর শিকার হয়। অধরা থেকে যায় মুল অবৈধ অস্ত্রধারীরা।  দীপংকরের এমন বক্তব্য  সমতলের মানুষের কাছে পাহাড়িদের প্রতি একটি নেতিবাচক ধারণা জন্ম দেয়। পাহাড়ি বাঙালীর বিভেদ তৈরি করে। ভ্রাতৃত্য সম্পর্কের ফাটল তৈরি করে।

পাহাড়িরা স্বীকার করে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র আছে। পাহাড়িরা প্রত্যাশা এগুলো কিভাবে শান্তিপুর্ণভাবে উদ্ধার করে পাহাড়ে শান্তি আনা যায় সে ব্যবস্থা করতে পারত দীপংকর তালুকদার। কিন্তু সেটা না করে তিনি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে অবৈধ অস্ত্র খুঁজেন। এ নিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী দীপংকরের উপর চরম ক্ষুব্দ।

পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংহতি সমিতির সাথে সরকারের বিরোধ সৃষ্টিতে দীপংকরের ভুমিকা দায়ী মনে করা হয়। জন সংহতি সমিতি সরকারের সাথে চুক্তি করে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে সমিতির সদস্যরা। একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু দীপংকরের সাথে সন্তু লারমার দা কুমড়া সম্পর্ক হওয়া কারণে এ সুফল পাচ্ছে না পাহাড়ি-বাঙালী মানুষ।

চুক্তির আলোকে গঠন হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ। এগুলো গঠনের ফলে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের।

কিন্তু সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে দুরত্ব বাড়ায় সরকার যে উদ্দেশ্যে এসব প্রতিষ্ঠান বানিয়েছে সে উদ্দেশ্যে পুরোপুরি সফল হচ্ছে না। এগুলো মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করছে। আঞ্চলিক পরিষদকে মনে করা হয় জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠান। জেলা পরিষদকে মনে করা হয় আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠান। একে অপরের সাথে সমন্বয়ন হীনতার এ মনোভাব সৃষ্টি করা হয়েছে। এজন্য দীপংকরকে দায়ী করেন পাহাড়িরা।

পাহাড়িরা মনে করে, সন্তু লারমার আন্দোলনের হাত ধরে দীপংকরের উত্থান হয়েছে। সন্তু লারমা সমর্থনের কারণে দীপংকর এক সময় এমপি হয়েছেন। কিন্তু দীপংকর সুযোগ পেলে সন্তু লারমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন। এটি পাহাড়িরা কোনভাবে মেনে নিতে পারে না।

কারণ পাহাড়িদের কাছে সন্তু লারমা এখনো একজন আদর্শ নেতার নাম। পাহাড়ে সন্তু লারমার হাত ধরে যে অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে অন্য কারোর হাত ধরে তা সম্ভব হয়নি।

পাহাড়িরা স্বভাবতই আওয়ামীলীগের প্রতি দুর্বল। দলের প্রতি তাদের সফট কর্নার আছে। বিএনপি না আওয়ামীলীগ প্রশ্ন করা হলে উত্তর হবে আওয়ামীলীগ। কিন্তু দীপংকের ভুমিকার কারণে পাহাড়িরা দোদুল্যমানে ভুগেন। তারা মনে করেন নতুন নেতৃত্ব আসলে পাহাড়ে রাজনীতির মেরু করণ হবে। আওয়ামীলীগের ভিত্তি আরো শক্ত হবে। পাহাড়িরা মনে করে দীপংকরের বিকল্প কেউ নেতৃত্বে আসলে পাহাড়ে পাহাড়ি বাঙালী ভ্রাতৃত্ব বন্ধন আরো সুদৃঢ হবে। পাহাড়ে শান্তিপুর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির একটা পথ বের হবে। যে পথ পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: