সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ইসলামপুরের হাসেম গ্রুপ নামের অর্ধশত পরিবারের সাড়ে তিনশো মানুষের চলাচলের একটি এলাকার একমাত্র রাস্তা।
পাহাড়ি জনপদের প্রায় এই দেড় কিলো এই মেঠো রাস্তা অতি বৃষটির ফলে কাদা যুক্ত ও রাস্তার দুই ধারে ভাঙ্গন ধরেছে। এতে ঝুঁকিতে বসবাস করছে ওই এলাকার পারিবার গুলো।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তাটি কাদাযুক্ত এবং দুই ধারে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে পাশাপাশি রাস্তার শেষ দিকে প্রায় (৮-১০) টি পরিবারের কাচা ঘরগুলো রয়েছে ভুমি ধ্বসের ব্যাপক ঝুঁকিতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেহাল দশার এই রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হলেও একবার মাটি ভরাট করলেও এর তেমন কনো সুফল হয়নি এখানে ইট-সলিং এর মাধ্যমে কাজ শুরু করার এবং রাস্তার শেষ দিকের ঝুকিপূর্ণ বসবাস হতে বসবাসের যোগ্য করতে ব্যবস্থার জন্য সাহায্য চেয়েছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ-বাচ্চু মিয়া জানান,পরিবার নিয়ে আমরা খুবই ঝুকিতে বসবাস করছি যেকোনো সময়ে ঘরবাড়ি নিয়ে আমরা মাটি চাপায় পড়তে পারি।কিছুদিন আগে আমার বাড়ির টয়লেট সহ ধ্বসে পড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ- নূরু বিশ্বাস জানায়, খুভই ভয়াবহ অবস্থায় আমরা বসবাস করছি,এই মেঠো রাস্তা দিয়ে প্রতিনিধি তিন থেকে সাড়ে তিনশত মানুষের আশা যাওয়া হয়ে থাকে, স্কুলের শিক্ষার্থীসহ জরুরি রুগি পারাপারে খুবই অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে আমাদের।ইট সলিং এর একটি রাস্তা এখানে বেশি প্রয়োজন।
ওখানকার স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার জানিয়েছেন, হাসেম গ্রুপের এই রাস্তটির কারনে এখানকার মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এলাকার এই দূর্দশা রোধে এই রাস্তার কাজ শিগগিরই শুরু করা দরকার।
এ বিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে যোগাযোগ করলে যানা যায় এই রাস্তাটির জন্য ঢাকা অফিসের (এস বি বি) তে রাস্তার আইডি দেয়া হয়েছে।
নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানায়, ইসলামপুর গ্রামের হাসেম গ্রুপের এই রাস্তা তৈরি খুবই ব্যয় বহুল যা উপজেলা পরিষদের করা সম্ভব নয় এই রাস্তার জন্য এর আগে উপজেলা পরিষদের পক্ষ হতে সম্ভব অনুযায়ী মাটি ভরাট করা হয়েছে।