শুক্রবার , ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মহান বিজয় দিবস উদযাপন

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
ডিসেম্বর ১৬, ২০২২ ৫:১২ অপরাহ্ণ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে রাঙামাটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধরু ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পনসহ আলোচনা সভা হয়েছে।পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা এর নেতৃত্বে ভোর ৬টা ২০ মিনিটে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, রাঙামাটি সদর উপজেলা ও বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব), সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ (যুগ্মসচিব), সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন (উপসচিব), বোর্ডের উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমাসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সকাল এগারোটায় বোর্ডের প্রধান কার্যালয়স্থ মাইনী মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কমার চাকমা এর সভাপতিত্বে মহান বিজয় দিবস ২০২২ এর কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো এর উপস্থাপনায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাধীনতা মহান স্থপতি বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল বীর শহীদ, জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ও দুই লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা বোনদের প্রতি গভীর বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন ও ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা শুরুতে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর সভাপতিসহ অতিথিবৃন্দ মঞ্চে আসন গ্রহণ ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।

চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত করতে পারা পৃথিবীতে বিরল ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিশ্বাসী বাংলাদেশ হিসেবে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। তিনি আরোও বলেন যে, আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভেীম রাষ্ট্র পেয়েছি, এটি সত্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন মুক্তিযুদ্ধ চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিশ্বাসী বিরোধীরা উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বিঘ্নিত করার জন্য প্রকাশে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তিনি এসব ষড়যন্ত্রকারী স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহলকে চিহ্নি করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ নতুন প্রজন্মদের এ বিষয়ে সজাগ থাকার আহবান জানান।

বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, পাক বাহিনীরা বাংলার মানুষকে সীমাহীনভাবে শোষন করতো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বিষয়টি অন্তর দিয়ে উপলব্ধী করতে পেরেছিলেন। তাই পাক বাহিনীদের শোষনের হাত থেকে বাংলার মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় তিনি আন্দোলনে নেতৃত্বে দেন। বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ”এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম…” স্লোগানের মাধ্যমে বাংলার মানুষ উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাক বাহিনীদের শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলার মাধ্যম অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি মৌলিক স্তম্ভ-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনামি, স্মার্ট গর্ভনমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে এ চারটি মৌলিক স্তম্ভকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নে সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।

এসময় বোর্ডের সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ, সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন, বোর্ডের উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৗশলী তুষিত চাকমা, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক জনাব মন্জু মানষ ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বার্ডের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকালে রাঙ্গামাটির তবলছড়িস্থ আনন্দ বৌদ্ধ বিহারে বিশেষ প্রার্থনা, দুপুরে বোর্ডের জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহ্ফিলসহ তবারক বিতরণ এবং সন্ধ্যায় তবলছড়িস্থ শ্রী শ্রী রক্ষা কালি মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: