খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কীত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন,
লংগদুর বাইট্টাপাড়া এলাকায় ফায়ার স্টেশন দ্রুত যাতে উদ্বোধন করে কার্যক্রম চালু করতে পারে এবং নানিয়ারচর – লংগদুর রাস্তা যাতে নির্মাণ করা হয় তার জন্য আমি সে ব্যাপারে চেষ্টা করবো এছাড়াও বাইট্টাপাড়া বাজারের কি উন্নয়ন করা যায় তা দেখবেন বলে এব্যাপারে তিনি সকলকে আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি), রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বাইট্টাপাড়া বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আর্থীক সহায়তা প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি আশ্বাস প্রদান করেন।
লংগদু উপজেলা আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ সেলিম সরকার এর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য হাজী ফয়েজুল আজীম, লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল আলীম, লংগদু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পক্ষে শাহাদাত ফরাজি সাকিব, বাইট্টাপাড়া বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম উদদীন প্রমুখ।
এতে উপস্থিত ছিলেন লংগদু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আকিব ওসমান, লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ ইকবাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য আসমা আলম,ও আব্দুর রহিম, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দীপংকর তালুকদার এমপি বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, এই বাইট্টাপাড়ায় আমি যখন এসেছিলাম, তখন আমাদের তেমন কোন লোক ছিলোনা। এলাকার হাকিম ভাইয়ের সহায়তায় সভা করেছি। বাইট্টাপাড়া হচ্ছে উপজেলার একটি প্রাণ কেন্দ্র জায়গা। কিছু দিন পর এই বাজারের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। তা, তৎক্ষনাৎ আমি আপনাদের কাছে বসতে পারিনি। তার জন্য আমি খুবই মর্মাহত। তাই ক্ষতিগ্রস্থদের সমবেদনা জানাচ্ছি।
জেলা পরিষদ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ জনকে জন প্রতি ১০ হাজার টাকা করে, কাঠ ব্যবাসায়ী সমিতি কতৃক ২ হাজার টাকা করে, আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে জন প্রতি ৫০ কেজি করে চাউল ও কম্বল বিতরণের ব্যাবস্থা করেছে।