কাপ্তাইয়ের তানিয়া আক্তারকে যৌতুক বাবদ ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় মারধর করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
সোমবার (২০ফেব্রুয়ারি) নির্যাতনের স্বীকার তানিয়া আক্তার সু-বিচার চেয়ে কাপ্তাই প্রেসক্লাবে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পত্রে জানা যায় ৫ বছর পূর্বে চট্রগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সৈয়দ বাড়ীর ইব্রাহিম সওদাগারের ছেলে মো.পারভেজ এর সাথে তানিয়া আক্তার এর ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসারে ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।গত আটমাস পূর্বে স্বামী পারভেজ আলম, তার বোন আমেনা,দুই ভাই মোরশেদ আলম ও খোরশেদ আলম আমার বাবার নিকট হতে যৌতুক বাবদ দশলাখ টাকা নিয়ে আসার দাবি করে। আমি বাবার বাড়ী হতে টাকা না আনায় অভিযুক্তরা আমাকে মারধর করে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। এ যাবৎ আমার বাবার বাড়ী অবস্থান করছি। আমার স্বামী ও উপরোক্ত অভিযোগ কারিদের বিরুদ্ধে রাঙ্গামটি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করি।যার মামলানং-১১৭/২০২২।যা এখন বিচারাধীন আছে।এবং আমি কেন মামলা করলাম তা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে অশালীন ভাষায় গালমন্দ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও পরিবারের সবাইকে হুমকি প্রদান করে।
এ দিকে রাঙ্গামটি নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল পারভেজ আলম ও তার বোন আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার জারি করে। তারা জামিনে এসে আমাকে পূনরায় হুমকি প্রদান করায় গত ১৮জানুয়ারি ২৩ইং তারিখ কাপ্তাই থানায় একটি ডায়রি করি। বর্তমানে তানিয়া আক্তার ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ করে। অভিযুক্ত তানিয়ার স্বামী পারভেজকে এ বিষয়ে ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।