পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা কারণে দেশের সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন হচ্ছে। মানুষ নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারছে। সরকার সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন কর্মকান্ড করে যাচ্ছে।
ঐতিহ্যবাহী রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন এর কয়লার ডিপু হরি মন্দিরের আয়োজনে ৫০ তম সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব ও শ্রী শ্রী হরি বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার ১৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের ৩য় দিন শুক্রবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় পরিদর্শনে মন্দিরের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন কমিটির আয়োজন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন নিখিল কুমার চাকমা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন হচ্ছে , সমাজের উন্নয়নে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমেই একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। তাই আগামী প্রজন্মকে ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কেননা সমাজ নিরাপদ থাকলে রাষ্ট্র নিরাপদ থাকবে। আর সমাজকে নিরাপদ রাখতে হলে অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় হরিমন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কেপিএম এর প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী স্বপন কুমার সরকার এর সভাপতিত্বে কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে, কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কান্তি ভট্টাচার্য্য, সাধারন সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু, উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ সভাপতি সুবর্ণ ভট্টচার্য্য, সাধারন সম্পাদক উৎপল ভট্টচার্য্য, কেপিএম সিবিএ সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি স্বপন বড়ুয়া, কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি সমলেন্দু বিকাশ দাশ ও অজয় সেন ধনা প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের আহবায়ক রতন মল্লিক। এর আগে সঙ্গীতা দত্ত এনির পরিচালনায় কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য শিল্পীরা নৃত্যনাট্য পরিবেশন করেন।
প্রসঙ্গত, কাপ্তাইয়ের ঐতিহ্যবাহী কেপিএম শ্রীশ্রী হরিমন্দিরের ১০ দিনব্যাপি সূবর্ণজয়ন্তী উৎসব গত ১লা মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। এদিকে উৎসবকে ঘিরে মন্দির সহ এর আশেপাশে এলাকায় বৈদিক যুগের নানা দেবদেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা এবং বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। এই উৎসব দেখতে হাজারো ভক্তের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে উৎসবস্থল।