খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে গণপিটুনির শিকারে ইউপিডিএফ কর্মী নিহতের ঘটনায় সংগঠনের ডাকে আজ জেলার ৫ উপজেলা ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে আধাবেলা হরতাল পালিত হয়েছে।
মূল সড়কে সকালে পুলিশের সহযোগিতায় গাড়ী চললেও মানিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়ি সড়কে বেশ কয়েকটি সিএনজি ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সকাল থেকে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৫ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ইউপিডিএফের (মূল) ঘোষিত অবরোধ চলাকালে সকাল ভোড় ৬টার দিকে মানিকছড়ি কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল সংলগ্ন মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধের চেষ্টা করে পিকেটাররা।
খবর পেয়ে মানিকছড়ি থানার পুলিশ ছুটে গিয়ে টায়ারের আগুন নিভিয়ে ফেলে এবং গাছের গুঁড়ি সরিয়ে সড়ক যান চলাচলে স্বাভাবিক করে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা গাড়ি পুলিশি নিরাপত্তায় পারাপার স্বাভাবিক রাখেন।
অন্যদিক একই সময়ে মানিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়ি সড়কে ইউপিডিএফ (মুল) দলের ডাকা আধাবেলা সড়ক অবরোধের সমর্থনে পিসিপি ও গনতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতাকর্মীরা লক্ষ্মীছড়িগামী ৬টি সিএনজি ও ১টি মোটরসাইকেল আংশিক ভাঙচুর করে।
এসময় পিসিপি ও গনতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতাকর্মীরা গাড়িগুলো জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সিএনজি ও মোটরসাইকেল চালকদের অনুরোধ করে রক্ষা পান।
মানিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনছারুল করিম বলেন, ইউপিডিএফের ডাকা অবরোধে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সড়কেও যেন কেউ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেদিকে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ যে, গত রোববার হ্লাচিংমং মারমা উষা নামে ইউপিডিএফ কর্মী গণপিটুনিতে নিহত হয়।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে গত রোববার হ্লাচিংমং মারমা উষা নামের ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মী গণপিটুনিতে আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই ঘটনার পর আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৫ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধের ডাক দেয় দলটি।