চিকিৎসকদের শত চেষ্টা ও অগণিত শুভানুধ্যায়ীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে না ফেরার দেশে সকলের প্রিয় খাগড়াছড়ির ইব্রাহিম খলিল।
খাগড়াছড়ি জেলায় জাতীয়তাবাদী আর্দশে রাজনীতি শুরু করা ইব্রাহিম খলিল রাজনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছিল অনন্য এক ব্যক্তিত্বে। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবায় জড়িয়ে সকলের মন জয় করেন।
যার প্রমাণ মিলেছে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাজায়। তাকে শেষ বিদায় জানাতে দল, মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এত বড় জানাজার নামাজ খাগড়াছড়ির ইতিহাসে এটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
৪০ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৬ টার পর জীবন প্রদীপ নিভে যায় খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিলের।
এর আগে, গেল ২৭ এপ্রিল ফেণীতে পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা ব্রেইন স্ট্রোক নিশ্চিতের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের বেসরকারি একটি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মস্তিষ্কে অপারেশনের পর ৭২ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তবে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শত চেষ্টায়ও ফেরানো যায়নি আর। বৃহস্পতিবার দুপুরে জানাজা শেষে খাগড়াছড়ির কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সর্বস্তরেরর মানুষের শ্রদ্ধা ও শোকঃ
খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিলের নামাজে জানাজা শেষে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া, কেন্দ্রীয় যুবদল, জেলা যুবদল, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি রেন্ট এ কার মালিক গ্রুপ, খাগড়াছড়ি প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক মালিক গ্রুপসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
ইব্রাহিম খলিলের মৃত্যুতে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক জানানো বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
মৃত্যুকালে তিনি মা, বাবা, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও ভাই সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কুলখানিঃ
খাগড়াছড়ি সদরের খাগড়াপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে আগামী ৮ মে সোমবার মরহুমের কুলখানি ও দোয়ার আয়োজন রয়েছে।