রাঙামাটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম একটি বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বি এফডিসি) বা বামউক। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠান সরকারী অনুষ্ঠান শেখ কামালের জন্মাদিনে কোন কর্মসূচি পালন তো দূরের কথা জেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানেও প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা অংশ নেয়নি।
বিএফডিসির পক্ষ থেকে শেখ জামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া হয়নি, অফিসে টাঙ্গানো হয়নি কোন ব্যানার।
প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত মাছের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও জাতীয় দিবস গুলোতে কোন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন না করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে রাঙামাটির বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের মাঝে।
বিএফডিসির কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে প্রোগ্রামে না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, স্যার চট্টগ্রাম রয়েছে। রাঙামাটি বিএফডিসির পক্ষ থেকে আমাদেরকে কোন ধরনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি। তাই আমরা প্রোগ্রামে উপস্থিত হতে পারিনি।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও জেলা মৎস্য জীবিলীগের সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেন, এটা খুবই দুঃখ জনক। জাতীয় শোক দিবসের রাঙ্গামাটির বিভিন্ন দপ্তর ব্যানার টাঙালেও বিএফডিসি কোন ব্যানার টাঙায়নি। এছাড়া আজ জাতীয় একটি প্রোগ্রাম জাতির জনকের পুত্র শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে অন্যান্য বছর বিএফডিসির ব্যবস্থাপকের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হলেও এবছর করা হয়নি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ না করা মানে স্বাধীনতাকে অবমাননা করা।
চিঠি না পাওয়ার ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টরের বিজন কুমার জোয়ারদার বলেন, রাঙামাটির সকল প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করার জন্য। আমরা আশা করি কাউকে বাদ দেয়নি।
এ বিষয়ে রাঙামাটির বিএফডিসির ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল আলম ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রামে রয়েছি। আপনার আগে আমাকে আরো কয়েকজন ফোন করেছে বিষয়টি নিয়ে। তিনি বলেন, আজকের প্রোগ্রামের কথা আমাদেরকে জানানো হয়নি। আমরা কেউ জানি না আজকের প্রোগ্রামের কথা। তার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন দপ্তর থেকেও তাদেরকে প্রোগ্রামের কথা জানানো হয়নি।
বিএফডিসির দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানায়, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন থেকে যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ হারুন অর রশদী স্বাক্ষরিত এক পত্রে সকল কেন্দ্রকে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামারের ৭৪ তম জন্মদিনে উপস্থিত থাকার জন্য পত্র দেয়া হয়েছে।