রাঙামাটির লংগদুতে দলবল নিয়ে বসতভিটা দখলে নিতে সাবেক নারী ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্য মমতাজ বেগমের বাড়িঘর ড্রেজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কেটে নেওয়া হয়েছে বাগানের গাছপালা।
এ ঘটনা লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নে। জাল দলিল নিয়ে বসতভিটার জায়গা—জমি দখল করতে ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মো. জহিরুল ইসলাম এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন, একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ঠেকাপাড়ার মো. দিদারুল ইসলামের স্ত্রী সাবেক ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ১৭ আগষ্ট রাতে বগাচতর ইউনিয়নের প্যাটাইন্যামাছড়া এলাকায় আমার বসতভিটা জায়গায় সৃজিত ১ হাজারের অধিক গাছ কেটে নিয়ে গেছেন জহিরুল ইসলামের লোকজন। এ সময় আমার ৩৫ বছরের ভোগ—দখলীয় বসতভিটা দখল করেন তারা। ড্রেজার চালিয়ে আমার বসতভিটা ভাংচুরসহ ফলজ ও বনজ গাছপালা বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমি বাধা দেওয়ায় জহিরুল ও তার লোকজন আমাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমার একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমার বাড়িঘরে ব্যবহৃত আসবাবপত্র, ঘরের চাল ও বেড়া ড্রেজার দিয়ে ভাংচুর করে দেয়। এতে আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে তারা। তবে আমি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে ঘটনাটি জানালে সঙ্গে সঙ্গে ড্রেজার মেশিনটি জব্দ করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে জহিরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যা নাটক সাজিয়েছেন মমতাজ বেগম। মমতাজ কী ধরনের মহিলা— তা এলাকার সবাই জানেন। এর আগেও আমার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দিয়েছেন তিনি।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার বলেন, এ ব্যাপারে থানায় এখনো অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।