কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর। তাঁর নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। অথচ বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে তাঁর নামে রয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এসব টাকা আলমগীর কীভাবে অর্জন করেছেন তারও কোনো সদুত্তর নেই। এক বছর ধরে আলমগীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্যের প্রমাণ পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার মামলা করেছে দুদক। অবশ্য, তার আগেই সব ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে ফেলে নিরুদ্দেশ আলমগীর।
তার এলাকার স্থানীয়রা বলছেন, আলমগীর বিদেশে লোক পাঠানো ও হুন্ডির ব্যবসা করতেন বলে তারা শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত কিছু জানেন না। অভিযোগের বিষয় জানতে মোহাম্মদ আলমগীরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন এ অনুসন্ধানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনিই এ দিন নিজ কার্যালয়ে মোহাম্মদ আলমগীর নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট কোনো পেশা না থাকার পরও বিভিন্ন ব্যাংকের ২০টি হিসাবে আলমগীর ও তাঁর স্ত্রীর নামে মোট ১৪ কোটি ৯৩ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এছাড়া ১ কোটি ৬৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৫১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক তিনি ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মোহাম্মদ আলমগীর একজন ধূর্ত ব্যক্তি। দুদকের অনুসন্ধানের খবর পাওয়ার পরপরই তিনি সব টাকা উত্তোলন করে ফেলেছেন। আলমগীর নিজেকে একজন রেমিট্যান্সযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে সন্দেহজনক এবং অবৈধ টাকাগুলো বৈধ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন।


















