বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন,আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মৃত ব্যক্তিরাও রাতে ভোট দিতে আছে।বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে আগামী ২৮ অক্টোবর ফাইনাল খেলা খেলে বিজয়ের পতাকা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।
তিনি রবিবার (২২ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি শহরের “বৈঠকে” বাগানে জেলা বিএনপির সাংগঠনক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশে আর অগণতান্ত্রিক, লুটেরা, ব্যাংক ডাকাত, রিজার্ভ চোর, কানাডায় বেগমপাড়া, দুবাই, মালয়েশিয়ায় বাড়ি করাদের অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মার্কা ভোট এ দেশে হবে না। নিশিরাতে মরা মানুষের ভোটে নির্বাচিত অবৈধ শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামীলীগ বার বার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করে ও পরবর্তীতে সেই ফাইনাল খেলার আগে অনুরোধ জানাবো, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করে। তিনি পুলিশের অতিউৎসাহী সদস্যদের প্রতিও বিচারের আওতায় আনা হবে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ভাবেন বিএনপিকে আবারও কৌশল করে ভোটে নিয়ে আসবেন, আবার কৌশল করে ২০১৮ সালের মতো দিনের ভোট রাতে করবেন, তা আর হবে না। এই কৌশল তারেক রহমান বুঝে ফেলেছেন। আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, জেলখানায় যেতে শিখেছি, কোর্টে হাজিরা দিতে শিখেছি। তাই আমাদের ধমক দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আমাদের নেতা তারেক রহমান আপনাদের সকল চরিত্র উন্মোচন করে দিবে।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়াদুদ ভূইয়া আগামী ২৮ অক্টোবরের ঢাকায় অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে জেলার সকল নেতাকর্মীকে লঙ্গি-গামছা নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য আহবান জানিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে পাকাপোক্ত করার জন্য সংবিধানে তত্ত¡বাবধায়ক সরকার করেছেন, সেই নেত্রী আজকে হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় বন্দি জীবন-যাপন করছেন। মুক্তিযুদ্ধের মূল স্বপক্ষের লোক হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ ওয়াদুদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক সভায় জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম এন আবছার, সহ-সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা, আবু ইউসুফ চৌধুরী, হাফেজ আহাম্মদ ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, অনিমেষ চাকমা রিংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহাবুব আলম সবুজ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি কুহেলী দেওয়ান, জেলা আবদুল্লাহ আল নোমান সাগর, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও তাঁতী দলের আহবায়ক আলমগীর মিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কংচাইরী মাষ্টার, নাছির আহম্মদ চৌধুরী, মংসুইথোয়াই চৌধুরী, বেলাল হোসেন, ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, উপদেষ্টা আবু তৈয়ব কোম্পানি, মোঃ মাসুদ,কোষাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তালেব, ক্ষনি রঞ্জন ত্রিপুরা, দপ্তর সম্পাদক মারিয়াম আক্তার মনি, ক্ষুদ্র, ঋণ ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বাবু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম রাসেল, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হোসাইন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদুল হোসেন সুমন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহেনা আক্তার, জেলা য্বুদলের যুগ্ম সম্পাদক কমল বিকাশ ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াসিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুর মোহাম্মদ হৃদয়, জেলা কৃষক দলের সভাপতি পারদর্শী বড়ুয়া, মৎসজীবি দলের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব রিয়াজ হোসেন, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রোকন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান, জেলা জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি জহির আহমেদ, জেলা জাসাসের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ ইউনুছ প্রমুখ।
বিএনপির নেতৃবৃন্দের অভিযোগ,দলীয় কার্যালয়সহ আরো তিনটি স্থানে সভার অনুমতি চেয়েও প্রশাসনের না পেয়ে অবশেষে “বৈঠক” বাগানে সভা করতে হয়েছে।