নিজস্ব প্রতিবেদক, পাহাড়ের খবর।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল নামে। সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্স হলিডেসহ শহরের আশেপাশে বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের উপচেপড়া ভির লক্ষ্য করা গেছে।
কিন্তু এসব মানুষজনের বেশির ভাগই ঘোরাঘুরি করছেন মাস্ক ছাড়া আর সামাজিক দূরত্ব না মেনে। তাদের যেন স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। এর ফলে রাঙামাটির পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এ নিয়ে অনেকটা দায়িত্বহীনতায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দুপুরে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স হলিডে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ঝুলন্ত সেতুতে অগণিত মানুষের পদচারণা। অথচ বেশিরভাগ মানুষ ঘোরাঘুরি করছেন মাস্ক ছাড়াই। বজায় নেই সামাজিক দূরত্বতার। সকাল থেকে সেখানে হাজার মানুষের সমাগম জমলেও স্বাস্থবিধির বালাই নেই তাদের মধ্যে।
ঝুলন্ত সেতু ছাড়াও পলওয়েল পার্কসহ শহরের আশেপাশে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ও উপভোগ্য স্থানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে। এসব স্থানেও লোকজন ঘোরাঘুরি করছেন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে।
সরাসরি কথা বললে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে হলিডে ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, আমরা মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটন এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছি না। কিন্তু ভেতরে গেলে কেউ মাস্ক খুলে ফেললে আমাদের কিছুই করার থাকে না। তাছাড়া এমনিতেই আমাদের জনবল কম, তার ওপর বিধিনিষেধ জারির পর অর্ধেক লোকবল দিয়ে পর্যটন কমপ্লেক্স চালু রাখতে বলা হয়েছে। তাই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না।
তিনি আরও বলেন, করোনা সংক্রমণে রাঙামাটিকে রেড জোন ঘোষণা করায় এ সময়ের ভেতরে তার কমপ্লেক্সে কম করে হলেও ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সোমবার সরকারি ছুটির দিনে হঠাৎ সেখানে পর্যটক সমাগম অধিক হলেও রেড জোন ঘোষণার পর থেকে এর আগে তেমন কোনো পর্যটকের আগমণ ঘটেনি।
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবখানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।