গত ৪ দিন ধরে অতিবৃষ্টি ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সচল হয়ে উঠছে এক সাথে ৫ টি ইউনিট। এই ৫ টি ইউনিট হতে সর্বমোট ১ শত ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের এর সাথে রবিবার ( ৬ আগস্ট) সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,
গত কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং পাহাড়ী ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে এই মুহুর্তে ( ৬ আগস্ট, সকাল ১০ টায়) ৯০.৬০ ফুট মীনস সী লেভেল (এম এস এল) পানি থাকার কথা। কিন্তু লেকে এখন পানি রয়েছে ৮২.৯০ ফুট এম এস এল। কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এম এস এল।
তবে পানি বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে এই কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিট এর মধ্যে ৫ টি ইউনিট সচল রয়েছে। এই ৫ টির ইউনিট থেকে বর্তমানে ১শত ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।
তৎমধ্যে রবিবার(৬ আগস্ট) সকাল ১০ টা পর্যন্ত ১ নং ইউনিট হতে ৩৩ মেগাওয়াট, ২ নং ইউনিট হতে ৩২ মেগাওয়াট, ৩ নং ইউনিট হতে ২৬ মেগাওয়াট, ৪ নং ও ৫ নং ইউনিট হতে প্রতিটিতে ২২ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। পানির পরিমান বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরোও বাড়বে।
উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত: পানির উপর নির্ভরশীল কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এতদিন পানির অভাবে শুধুমাত্র ২ থেকে ৩ টি ইউনিট রেশনিং করে চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছিল। বর্তমানে পানি বাড়ার ফলে ৫ টি ইউনিট সচল করা হয়েছে। এই ৫ টি ইউনিট এর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২ শত ৩০ মেগাওয়াট।